পর্যটন কেন্দ্র স্থাপণের উদ্দেশ্য জুরাছড়ি-বিলাইছড়ির সীমান্তবর্তী গাছবাগান ও থুম পাড়া গ্রামবাসীদের উচ্ছেদের বন্ধের দাবীতে মঙ্গলবার রাঙামাটিতে মানববন্ধন ও প্রধানমন্ত্রীর বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে জুরাছড়ি-বিলাইছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী সংযোগ সড়ক সংলগ্ন গাছবাগান ও থুম পাড়ার গ্রামবাসী।
জেলা প্রশাসন কার্যালয় চত্বরের সামনে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করা হয়। মানববন্ধন চলাকালে সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্য বক্তব্য দেন আদিবাসী ফোরামের পার্বত্যাঞ্চল শাখার সাধারন সম্পাদক ইন্টুমনি তালুকদার, শিক্ষাবিদ শিশির চাকমা, পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের জেলা শাখার সভাপতি জিকো চাকমা, হিল ইউমেন্স ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক উলিসিং মারমা, গ্রামবাসী মদন বিকাশ চাকমা, পূর্নরানী চাকমা প্রমুখ। মানবন্ধন শেষে জুরাছড়ি-বিলাইছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী সংযোগ সড়ক সংলগ্ন গাছবাগান ও থুম পাড়ার গ্রামবাসী পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়। দাবীগুলো হলো, গ্রাম ছাড়ার নির্দেশ প্রত্যাহার, গ্রাম সংলগ্ন পর্যটন স্থাপন ও জুম চাষে কোন বাঁধা প্রদান না করা, বাগান-বাগিচায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের ক্ষতিপূরণ প্রদান করা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, সরকার পার্বত্য চুক্তিকে পাশ কাটিয়ে ও পর্যটন কেন্দ্র স্থাপনের নামে গ্রামবাসীদের উচ্ছেদ করা হলে তা দেশের জন্য ও পার্বত্য চট্টগ্রামের জন্য সুখকর হবে না। সীমান্ত এলাকার গাছবাগান ও থুম ছড়া পাড়া শুধু দুই গ্রাম উচ্ছেদ হবে না পাশাপাশি শুক্করছড়ি, চঙরাছড়ি, দুলুবাগান, বিলাইছড়ির মন্দিরা ছড়া ও জুরাছড়ির পাহাড়ী গ্রামগুলো উচ্ছেদ হতে বাধ্য হবে। তাদের একমাত্র জীবিকার উৎস জুম চাষ বন্ধ হবে। বক্তারা অবিলম্বে পর্যটন কেন্দ্র স্থাপন বন্ধ করে গ্রামবাসীদের গ্রাম ছাড়ার নির্দেশনা ও ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণের দাবী জানান।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.