রোববার রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে জেলা সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জেলা পরিষদ সন্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম জাকির হোসেনের পরিচালনায় সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) তানভীর আজম ছিদ্দিকী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ, নির্বাহী কর্মকর্তা ছাদেক আহমদসহ জেলার বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধান, সাংবাদিক ও কমিটির সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জেলা মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, চলতি বছরে কাপ্তাই লেকে ৮৭৪.০৫ মেঃটন মাছ উৎপাদন হয়েছে এবং ৮৯ লক্ষ ৯ হাজার টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে।
এলজিইডি’র থেকে জানানো হয় আসামবস্তী-ভেদভেদী সড়কের কাজ প্রায় শেষ হওয়ায় জনসাধারণ ও গাড়ী চলাচলে কোন অসুবিধা হচ্ছে না।
ইক্ষু গবেষণা ইন্সটিটিউট জানায় চাষীদের আতœকর্মসংস্থান সৃষ্টি ও ইক্ষু উৎপাদনে আগ্রহী করতে জেলার ৬টি উপজেলায় ৪২টি প্লট প্রদর্শনী চলছে। জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশন জানায় জেলায় মসজিদ ভিত্তিক শিশু শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। এছাড়া বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাষ্টের উদ্যোগে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও তিন পার্বত্য জেলায় বৌদ্ধ মন্দির ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম চালু হতে যাচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শহরের প্রধান বাঁধ সড়ক ফিসারীঘাট হতে ট্রাক টার্মিনাল পর্যন্ত বাঁধ সংস্কারের উদ্দেশ্যে নকশা অনুমোদন এবং বাজেট বরাদ্দের জন্যে মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এছাড়া রাঙামাটির বিভিন্ন জায়গায় ভাঙ্গণ রোধে সার্ভে ও ডিপিপি প্রণয়নের কাজ চলছে।
সভায় মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম জাকির হোসেন বলেন, রাঙামাটি জেলায় কল্যাণে সকলে মিলেমিশে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, পরিষদের চেয়ারম্যানের দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী জেলার মানুষের সুবিধার্থে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এ পরিষদ থেকে দুটি মোবাইল ফোন প্রদান করা হবে। তিনি পর্যটন শহর রাঙামাটিকে ওয়াইফাই জোনের আওতায় আনার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানান।
সভাপতির বক্তব্যে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা পার্বত্য জেলার সার্বিক উন্নয়নে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, পার্বত্য এলাকার মানুষের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থনৈতিক উন্নয়নে সমন্বয় করাই হবে আমাদের সবার প্রধান দায়িত্ব ও কর্তব্য। তিনি আরও বলেন, পরিষদে প্রতিমাসে অনুষ্ঠিত উন্নয়ন সভায় জেলার উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত থেকে এ জেলার বসবাসরত মানুষের শান্তি ও উন্নয়ন প্রতিষ্ঠায় সু-পরামর্শ এবং মতামত প্রদান করা প্রয়োজন। সকলের সমন্বয়ে আলোচনা ও মতামতের ভিত্তিতে এ জেলার উন্নয়ন ঘটানোর জন্য সবাইকে আহ্বান জানান।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.