সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলায় আস্থা প্রকল্পের ইয়ুথ গ্রুপ এ্যাক্টিভেশন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় জেলা প্রকল্প সমন্বয়কারী বিপ্লব চাকমার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রগতি চাকমা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেনউপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ আজিজুল হক, সিএইচটি নারী কার্বারী-হেডম্যান নেটওয়ার্ক-এর সাধারণ সম্পাদক শান্তনা খীসা, লিড পার্টনার রুপান্তরের প্রকল্প সমন্বয়ক রাবেয়া বশরী ও ক্লাস্টার সমন্বয়ক রত্না প্রমুখ। স্বাগত বক্তবব্য রাখেন প্রকল্পের ফিল্ড অফিসার রবীন চন্দ্র চাকমা।
পরে জেলা প্রকল্প সমন্বয়কারী বিপ্লব চাকমা, পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে প্রকল্পের উদ্দেশ্য, লক্ষ্য, পরিকল্পনা ও বিভিন্ন পর্যায়ের অংশীজন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোকপাত করেন। সভা শেষে উপজেলা ভিত্তিক ইয়ুথ গ্রুপ গঠন করা হয়।
অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য হালিমা আক্তার বলেন,“আমি একজন স্বামী পরিত্যঠক্তা। আমি স্ব-উদ্যোগে সেলাই প্রশিক্ষণ নিয়ে একজন উদ্যোক্তা হয়েছি। বর্তমানে আমার একটি কাপড় সেলাই-এর দোকান আছে। আমি আমার পাশাপাশি আরো একজনকে উদ্যোক্তা বানাতে পেরেছি। আমি ইয়ুথ গ্রুপের সদস্য হতে পেরে আনন্দিত। আমি চেষ্টা করবো যাতে পরিবার, সমাজ ও দেশ উন্নয়নে কাজ করতে পারি।”
বিশেষ অতিথিদের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য মোঃ আজিজুল হক ইয়ুথ গ্রুপের যুবাদের উদ্দেশ্যে বলেন,আস্থা প্রকল্পের কাজগুলো সম্পূর্ণ স্বেচ্ছামূলক কাজ। স্বেচ্ছাসেবী কাজগুলো নিজেদের প্রয়োজনে নিজেদের ভালোর জন্য আমরা করে থাকি। যেমন গেল ঘূর্ণিঝরের সময় আপনারা স্বেচ্ছায় উদ্ধার ও প্রস্তুতিমূলক কাজে অংশ নিয়েছিলেন।
প্রধান অতিথির প্রগতি চাকমা বলেন. আস্থা প্রকল্পে সুশাসন, নাগরিক অধিকার, তথ্য অধিকারের কথা বলা হয়েছে। এ বিষয়গুলো যুব ক্ষমতায়নের পূর্বশর্ত। যুবারাই সবকিছুতে পরিবর্তন আনতে পারে। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা-যুদ্ধে যুবরাই যুদ্ধ করে এ দেশ স্বাধীন করে। আমরা ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি। যুবাদের হাতেই এদেশ স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত হবে। আস্থা প্রকল্পের কাজগুলো পরিবার, সমাজ ও দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে যুবাদের অধিকতর অনুপ্রেরণা যোগাবে। আর এভাবে দেশের উন্নয়নে যুবদের কার্যকরি ভূমিকার মধ্য দিয়ে এদেশ বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাবে।
সভাপতির বক্তব্য বিপ্লব চাকমা বলেন,যুবাদের বিভিন্ন আধিকার বিষয়ে সচেতন করা ও সেবাদানকারী বিভাগের সাথে সংযোগ সৃষ্টি করা আস্থা প্রকল্পের মুল উদ্দেশ্য। আমাদের সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের তথ্যগুলো জানতে হবে। সরকারের সকল প্রতিষ্ঠান তাদের তথ্য জনগণকে দিতে বাধ্য। কিন্তু আমরা অনেকে তথ্য অধিকার সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নই। আস্থা প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারের ২০১৭ সালে প্রবর্তিত যুবনীতির আলোকে যুবাদের নিজেদের অধিকার, তথ্য অধিকার, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সমস্যা ও সমস্যা উত্তোরণ বিষয়ে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সচেতন করা হবে।
উল্লেখ্য, সুইস এ্যাম্বেসির অর্থায়নে আশিকা ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েটস-এর বাস্তবায়নে আস্থাপ্রকল্পটি রাঙামাটি জেলার দশ উপজেলায় বাস্তবায়নের কাজ চলমান রয়েছে। প্রকল্পটি ২০২৬ সালের মার্চ মাসে সমাপ্ত হওয়ার কথা রয়েছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.