পানছড়িতে চার নেতাকর্মী হত্যার প্রতিবাদে মঙ্গলবার খাগড়াছড়ি জেলায় সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে ইউপিডিএফ ও তার সহযোগী সংগঠনগুলো।
ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের প্রধান নিরন চাকমার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, সোমবার সকাল ৬টা থেকে ইউপিডিএফ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা খাগড়াছড়ির সকল উপজেলার বিভিন্ন সড়কে গাছের গুড়ি ফেলে ও টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করে।খাগড়াছড়ি শহর থেকে দূরপাল্লার কোন যানবাহন ছেড়ে যায়নি। শহরের অভ্যন্তরে নগণ্য সংখ্যক টমটম ও অটোরিক্সা চলাচল করলেও সদর উপজেলার অন্যান্য সড়কগুলোতে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। এছাড়া দীঘিনালা, পানছড়ি, মহালছড়ি, মাটিরাঙ্গা, গুইমারা, রামগড়, মানিকছড়ি ও লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায়ও দূরপাল্লার ও অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতে যানবাহন চলাচল করেনি।
বিবৃতিতে বলা হয়,ঘটনার এক সপ্তাহ পরও চার নেতার খুনীদের গ্রেফতার না করায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। একটি বিশেষ গোষ্ঠী হত্যাকারীদেরকে রক্ষার জন্য মরিয়া হয়ে চেষ্টা চালাচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে কারা খুন, সন্ত্রাস, অরাজকতা ও অশান্তি সৃষ্টি করছে তা চার নেতার খুনের ঘটনায় আরও একবার দেশবাসীর কাছে পরিস্কার হয়েছে।
বিবৃতিতে, অবিলম্বে চার নেতার খুনিদের গ্রেফতার করে জনসমক্ষে বিচার ও সাজা নিশ্চিত করা, ঠ্যাঙাড়ে নব্যমুখোশ বাহিনী ভেঙ্গে দেয়ার দাবি জানান। অন্যথায় জনগণ খুনি সন্ত্রাসীদেরকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে যা যা করণীয় তাই করবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়।
উল্লেখ্য, গেল ১১ ডিসেম্বর রাতে পানছড়ির লোগাঙ এলাকার অনিল পাড়ায় একটি বাড়িতে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে পিসিপির সাবেক সভাপতি ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল চাকমা, পিসিপি’র কেন্দ্রীয় সহসভাপতি সুনীল ত্রিপুরা, ইউপিডিএফ সংগঠক রুহিন বিকাশ ত্রিপুরা (রহিনসা) ও গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের খাগড়াছড়ি জেলা সহসভাপতি লিটন চাকমাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
--প্রেস বিজ্ঞপ্তি।