জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন ও শেখ রাসেল দিবস-২০২৩ পালন উপলক্ষে বুধবার রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবিপ্রিবি) আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দীপংকর তালুকদার ভবনের সম্মেলন কক্ষে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন রাবিপ্রবি ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সেলিনা আখতার । বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ ইউসুফের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাবিপ্রবি প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাঞ্চন চাকমা, সিএসই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও প্রক্টর জুয়েল সিকদার। সভা সঞ্চালনা করেন রাবিপ্রবি জনসংযোগ দপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ সাইফুল আলম। বক্তব্যে রাখেন রাবিপ্রবি’র কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান জনাব ধীমান শর্মা, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও ছাত্রী হলের সহকারী প্রভোস্ট মোহনা বিশ্বাস, রাবিপ্রবি অফিসার্স এসোসিয়েশন এর সভাপতি ও সহকারী রেজিস্ট্রার (একাডেমিক) মাহবুব আরা এবং রাবিপ্রবি কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সভাপতি ও সিনিয়র মেডিকেল এসিস্ট্যান্স মোঃ কামাল হোসেন বক্তব্য প্রদান করেন।
আলোচনা সভার শুরুতে শেখ রাসেল এর উপর নির্মিত প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন এবং বিশেষ দোয়া মাহফিল করা হয় । আলোচনা সভা শেষে রাবিপ্রবি প্রশাসনিক ভবনের পাশে বৃক্ষ রোপণ করেন রাবিপ্রবি ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সেলিনা আখতার, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাঞ্চন চাকমা এবং রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ ইউসুফ।
এর আগে শেখ রাসেল এর ৫৯তম জন্মদিন ও শেখ রাসেল দিবস-২০২৩ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন- ১ থেকে এক বর্নাঢ্য র্যালী বের করা হয়। র্যালীটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে দীপংকর তালুকদার একাডেমিক ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। এরপর শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং দোয়া কামনা করেন রাবিপ্রবি ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সেলিনা আখতার মহোদয়, রাবিপ্রবি প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাঞ্চন চাকমাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্যরা।
সভায় বক্তারা শিশু শেখ রাসেলকে হত্যা ইতিহাসের একটি জগণ্য অপরাধ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। বক্তারা এরকম হত্যাকান্ড যেন ভবিষ্যতে বিশ্বে কোথাও না হয় এ কামনা করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. সেলিনা আখতার বলেন, “ফুল প্রস্ফুটিত হওয়ার আগে শেখ রাসেলকে হত্যা করা হয়েছে। যা একটা জগণ্য অপরাধ ছিল। শিশু রাসেল বেঁচে থাকলে হয়তো দেশের জন্য জন্য এবং সারা বিশ্বে অনেক অবদান রাখতো।” তিনি আরো বলেন, ১৯৭৫ এর মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধংস করার জন্য এবং স্বাধীন বাংলাদেশ যেন মাথা উচু করে দাড়াতে না পারে ১৯৭৫ সালের শিশু রাসেলসহ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু পরিবারকে হত্যা করা হয়েছে।
প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর ড. কাঞ্চন চাকমা বলেন, দেশের ইতিহাসে এ হত্যাকান্ড একটি জগণ্য হত্যা। এ হত্যাকান্ডকে ধিক্কার জানাই। এরকম হত্যা যেন আর না হয় সেজন্য সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে দেশ তথা সারা বিশ্বে একজন সম্ভাবনাময়ী নেতা হতে পারতো। কিন্তু সে আশার প্রদীপ অকাল ঝরে ফেলা হয়েছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.