তিন পার্বত্য জেলায় বসবাসরত সকল মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন হোক পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চাই বলে মন্তব্য করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকমা ।
তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি এর অভিপ্রায়ে তিন পার্বত্য জেলায় কফি ও কাজুবাদাম চাষের মাধ্যমে প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। রাজশাহী জেলা যেমন আমের জন্য বিখ্যাত, সিলেট জেলা যেমন চায়ের জন্য বিখ্যাত তেমনি তিন পার্বত্য জেলাকে কফি ও কাজুবাদাম চাষের জন্য বিখ্যাত অঞ্চল হিসেবে দেখা চাই পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড।
শুক্রবার খাগড়াছড়িতে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে কফি ও কাজুবাদাম চাষের মাধ্যমে দারিদ্র হ্রাসকরণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় দিনব্যাপী উপকারভোগীদের গাছ রোপন ও পরিচর্যা বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি উদ্বোধনকালে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড খাগড়াছড়ি ইউনিট কার্যালয়ের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠান বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল আলম চৌধুরী (অতিরিক্ত সচিব), সদস্য পরিকল্পনা ও প্রকল্প পরিচালক মোঃ জসীম উদ্দিন উপকারভোগী কৃষকদের উদ্দেশ্যে পরামর্শমূলক বক্তব্য দেন। এসময় খাগড়াছড়ি নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মুজিবুল আলম,উপপরিচালক মংছেনলাইন রাখাইনসহ উপকারভোগী কৃষকসহ বোর্ড ও বোর্ডের আওতায় কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। প্রশিক্ষণে খাগড়াছড়ি সদর এবং মাটিরাঙ্গা উপজেলা থেকে মোট ৬০জন উপকারভোগী কৃষকগণ অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণ শেষে উপকারভোগীদের মাঝে কৃষি সরঞ্জামাদিসহ এককালিন আর্থিক প্রণোদনা প্রদান করা হয়। প্রশিক্ষণটি সঞ্চালনা করেন বোর্ডের বাজেট ও অডিট অফিসার মোঃ নুরুজ্জামান।
উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান আরো বলেন, তিনি ২০০৯ সালে ভিয়েতনামে রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় সেখানে কিভাবে কফি ও কাজুবাদাম চাষ শুরু হয়েছিলো সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। বাংলাদেশ প্রতিবছর প্রচুর পরিমাণে কফি ও কাজবাদাম আমদানী করে। ভিয়েতনাম অন্যতম আমদানী কারক দেশ হিসেবে পরিচিত। বিদেশ থেকে কফি ও কাজুবাদাম আমদানী নির্ভরতা কমাতে তিন পার্বত্য জেলায় কফি ও কাজুবাদাম চাষের উপর গুরুত্ব দিচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড। পার্বত্য এলাকায় প্রচুর পরিমাণে কফি ও কাজুবাদাম উৎপাদিত হলে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে সক্ষম হবে।
তিনি কফি ও কাজুবাদাম চাষ প্রকল্প ছাড়াও বর্তমানে তুলা চাষ, ইক্ষু চাষ প্রকল্প চলমান রয়েছে। অত্র এলাকার ভাগ্যোন্নয়নের আর কি কি প্রকল্প গ্রহণ করা যেতে পারে সে পরামর্শ প্রদানের জন্য সকলের কাছে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর