জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবিপ্রবি) উদ্যোগে শোক র্যালী ও সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
এ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের দীপংকর তালুকদার একাডেমিক ভবন “বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড ও তাঁর স্বপ্নের বাংলাদেশ” শীর্ষক এক সেমিনারেরপ্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সেলিনা আখতার। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. কাঞ্চন চাকমার সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি প্রফেসর মোঃ রুহুল আমিন। বক্তব্যে দেন রাবিপ্রবি’র সিএসই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও প্রক্টর জুয়েল সিকদার এবং সিএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান ধীমান শর্মা। বক্তব্য রাখেন। সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীগণ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ ইউসুফ।
এর আগে একটি শোক শোভাযাত্রা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে দীপংকর তাকুদার ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে শ্রদ্ধা নিবেদন করে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. সেলিনা আখতার বলেন, “বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে স্বাধীন করে দিয়েছেন। তিনি সারাটি জীবন বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য কিভাবে পরিবর্তন হবে সেজন্য কাজ করেছেন। পৃথিবীর অনেক হত্যাকান্ড হয়েছে কিন্তু কোন হত্যাকান্ডে অবলা নারী, গর্ভবতী নারী,মাসুম শিশু হত্যাকান্ডের টার্গেট ছিলনা! ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ইতিহাসের সবচেয়ে নির্মম ও জঘন্যতম হত্যাকান্ড গুলোকে ছাপিয়ে গেছে! বঙ্গবন্ধুর রক্ত যাতে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে এজন্য খুনীরা বেছে বেছে তাঁর পুরো পরিবারকে হত্যা করেছিল!
প্রধান আলোচক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি প্রফেসর মোঃ রুহুল আমিন বলেন, বঙ্গবন্ধু এ দেশকে ভৌগলিক মুক্তি এনে দিয়েছিলেন, তিনি ছিলেন এ জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা এবং স্বাধীনতার রূপকার। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নৃশংসভাবে হত্যা করে খুনিরা তাঁর দৈহিক সত্ত্বাকে কেড়ে নিয়েছে কিন্তু তাঁর স্বপ্নকে মারতে পারেননি। তিনি বাংলাদেশের মানুষের ধমনী ও হৃদয়ের স্পন্দন।
সভাপতির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. কাঞ্চন চাকমা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন একজন অসাধারণ নেতা। দেশ ও দেশের মানুষের প্রতি অপরিসীম ভালোবাসা তাঁর রাজনীতি ও জীবন আদর্শকে অর্থবহ করে তুলেছিল। কিন্তু এদেশের কতিপয় বিপদগামী ষড়যন্ত্রকারীরা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারকে বুলেটের আঘাতে নির্মমভাবে হত্যা করে এদেশ থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে দিতে চেয়েছিল। অথচ তারা জানেনা বঙ্গবন্ধু মানে বাংলাদেশ।
--প্রেস বিজ্ঞপ্তি।