রাঙামাটি কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৭ ও ২৮ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার) দুই দফায় বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটে অভ্যান্তরিত বৈদ্যুতিক লাইন পুড়ে ৪ দিন ধরে বিদ্যুৎ বিহীন হয়ে পড়েছে হাসপাতালটি। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা রোগী সহ দায়িত্বরত কর্মকর্তা কর্মচারীরা। একদিকে রোগেভোগা অন্য দিকে গরমের উত্তাপ এ যেন রোগীদের মরার উপর খাড়ার ঘা ।
এদিকে ৪ দিন বিদ্যূৎ না থাকায় নষ্ট হওয়ার সংঙ্কা দেখা দিয়েছে ফ্রিজিং করা ঔষদ । ২০২১ সালের শেষের দিকে উদ্বোধন হওয়া ৫০ শয্যার নতুন ভবনে এ দুর্ঘটনাকে কাজের নিন্মমানের বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় সাধারণ মানুষ।
জানা গেছে, ২৭ অক্টোবার দুপুরে তৃতীয় তলা বিশিষ্ট হাসপাতালটির নিচ তলার বৈদ্যুতিক নিয়ন্ত্রণ বক্সে শর্ট সার্কিটের কারনে আগুন লাগে। তাৎক্ষনিকভাবে ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলেও ফায়ার সার্ভিস টিম আসার আগেই হাসপাতালটিতে থাকা অগ্নি নির্বাপক পাউডার দিয়ে আগুন নেভান হাসপাতালের কর্মচারীরা। এসময় বেশকিছু অভ্যন্তরিন লাইন পুড়ে যায়। যার ফলে বিদ্যুৎ বিহীন হয়ে পড়ে এই হাসাপাতালটি। পরে কাউখালী বিদ্যুৎ বিভাগের সহযোগীতায় হাসপাতালটি তৈরী করা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোক এসে হাসপাতালটির একাংশের বিদ্যুৎ চালু করে। চালু করা অংশে শুক্রবার আবার শর্ট সার্কিটে আগুন লেগে যায়। সেবারও আগুণ নিয়ন্ত্রনে আনে হাসপাতালের কর্মচারীরা। দুই দফায় আগুন লাগার ফলে পুরো হাসপাতালটিতে বিদ্যুৎ বিহীন হয়ে পড়ে। আতংক দেখা দিয়েছে রোগী ও দায়িত্বরতদের মাঝে।
এঘটনায় রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ ও জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় যৌথ ভাবে জেলা পরিষদ এর একজন সদস্য আহবায়ক, ডেপুটি সিভিল সার্জন, রাঙ্গামাটি স্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিপ্তরের সিভিল ইঞ্জিনিয়ার ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে সদস্য করে একটি ও উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রকৌশলীকে প্রধান করে, আবাসিক প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ), ফায়ার সার্ভিস ইনচার্জ, আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার, কলমপতি ইউপি চেয়ারম্যানকে সদস্য হিসেবে তদন্ত কমিটি গঠন করেছ। এই দুই তদন্ত কমিটিকে আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে দুর্ঘটনার কারন নিরূপণ পূর্বক তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে চলা হয়েছে।
এছাড়াও চট্টগ্রাম স্বাস্থ্য বিভাগের একজন প্রকৌশলী (ইলেক্ট্রিকেল) ক্ষতিগ্রস্ত স্থানগুলো নির্ণয়ের জন্য কাজ করছেন। রবিবার বিকেলে পরিদর্শনে করেছেন জেলার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. আরেফিন আজিজ, রাঙামাটি স্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিপ্তরের সিভিল ইঞ্জিনিয়ার অলিউর রহমান, উপজেলা প্রকৌশলী ও আবাসিক প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) এর প্রতিনিধি।
জেলার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. আরেফিন আজিজ জানান, আমরা যৌথভাবে দুর্ঘটনার কারণ জানার চেষ্টা করছি। গুরুত্বপূর্ণ কিছু জায়গায় অস্থায়ী ভাবে বিদ্যুতের লাইন দেওয়া হয়েছে। অভিজ্ঞ ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত সবগুলো স্থান খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। সমস্যা নিরূপনের পর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কাজ শেষ করার জন্য বলা হবে। অবশ্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি আমাদের সাথে বর্তমানে সমস্যা নিরূপনের কাজ করছে। কায়েকদিনের মধ্যেই বিদ্যুৎ লাইন স্বাভাবিক হবে বলেও জানান তিনি।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.