প্রধান বন সংরক্ষক মোঃ আমীর হোসাইন চৌধুরী বলেছেন, পার্বত্য অঞ্চলে যারা বসবাস করছে তাদের অস্তিত্ব, জীবন-জীবিকা এবং তাদের মৌলিক চাহিদা হিসেবে বিশুদ্ধ পানির জন্য এ অঞ্চলের বনাঞ্চলকে ঠিকিয়ে রাখতে হবে। এ অঞ্চলের ক্ষয়প্রাপ্ত বনাঞ্চলকে আবার ফিরিয়ে আনতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। তবে সংঘটিত বনের অবক্ষয় বন্ধ করে বন পুনরুদ্ধারের জন্য পরিকল্পনা প্রনয়ন বেশ জটিল। তাই সকলের সহযোগিতায় অবশ্যই একটি পরিকল্পনা করতে হবে।
বহস্পতিবার বৃহস্পতিবার রাইংক্ষিয়ং রির্জাভ ফরেষ্টে ল্যান্ডস্ক্যাপে ভূমি ব্যবহারে পরিকল্পনায় সুবিধাভোগীদের নিয়ে আয়োজিত মতবিনময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা আরন্যক ফাউন্ডেশনের আয়োজনে রাঙামাটি পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্স অডিটোরিয়ামে মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন বন বিভাগের রাঙামাটি অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিজানুর রহমান। বক্তব্য রাখেন, আরণ্যক ফাউন্ডেশেনর নির্বাহী পরিচালক রাকিবুল হাসান মুকুল, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য ডা. নীলু কুমার তংচংগ্যা প্রমুখ। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. স্বপন কুমার সরকার। দিন ব্যাপী মতবিনিময় সভায় জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও সুবিধাভোগীরা অংশ নেন।
রাইংক্ষিয়ং রির্জাভ ফরেষ্টে ল্যান্ডস্ক্যাপে ভূমি ব্যবহারে পরিকল্পনার সীমাক্ষার উপর মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. স্বপন কুমার সরকার। তিনি তার মূল প্রবন্ধে বলেন, ভূমিরুপ গত কয়েক দশকে বেশ পরিবর্তিত হয়েছে এবং পানির উৎস ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
প্রধান বন সংরক্ষক মোঃ আমীর হোসাইন চৌধুরী আরো বলেন, সরকার বন অধিদপ্তরকে বন ব্যবস্থাপনায় দায়িত্ব দিয়েছে। বন অধিদপ্তর কাউকে জমি বরাদ্দ দিতে পারে না। তবে যারা ইতোমধ্যে বনের ভেতর বাস করছেন তাদের নিয়েই এ বন ব্যবস্থাপনা করতে হবে। বন ব্যবস্থাপনার মূল ষ্ট্র্যাটেজি হল জনগণকে সম্পৃক্ত করে তাদের উপকারের নিশ্চিত করা এবং বনের উপর তাদের ষ্পষ্ট ধারনা তৈরী করা। আরণ্যক ফাউন্ডেশন সে রকম একটি প্লান তৈরী করবে যা সকল সুবিধাভোগীদের কাছে গ্রহনযোগ্য হবে বলে আশাবাদী।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.