বান্দরবানে লামা উপজেলায় ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় ও জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে রোববার শেষ হয়েছে মারমা সম্প্রদায়ের সব চেয়ে বড় সামাজিক উৎসব সাংগ্রাই পোয়ে বা জলকেলী উৎসব।
পাঁচ দিনব্যাপী আয়োজিত সাংগ্রাই পোয়ে উৎসবে উপজেলা বিভিন্ন পল্লী থেকে তরুণ-তরুণীরা ম-পে এসে একে অপরের প্রতি মঙ্গল জল ছিটিয়ে রাখাইন অব্দ (মগী সন) ১৩৭৬ কে বিদায় এবং নতুন অব্দ ১৩৭৭ কে বরণ করে নিতেই মারমা সম্প্রদায়রা এ উৎসব পালন করে। সুসজ্জিত মাঠে মাঝখানে দুই সারিতে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে একদল তরুণ-তরুণী সামনে রাখা ড্রামে পানি থেকে তাঁরা পরস্পরের দিকে পানি ছিটানো শুরু করতেই আয়োজনে শামিল হন মাঠে থাকার দর্শক সবাই।
লামা পৌরশহর পালিটুল ছাত্রাবাস প্রাঙ্গনে অছিংহ্লা মার্মা সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত জলকেলী উৎসবে ছোট নুনারবিল পাড়া কারবারীমংয়েনু মারমা সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান থোয়াইনু অং চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সামসুন নাহার সুমি, সহকারী পুলিশ সুপার মো. আল মাহমুদ হাসান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ উচহ্লা মার্মা, রূপসীপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ছাচিং প্রু মার্মা, মুক্তি যোদ্ধা কমান্ডার শেখ মাহাবুবুর রহমান, লামা প্রেস ক্লাবের সভাপতি প্রিয়দর্শী বড়–য়া, লামা আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ইমতিয়াছ, উপজেলা আওয়ামীলীগ এর ত্রাণ ও সমাজ কল্যেণ সম্পাদক থুইনিমং মার্মা, বেসরকারী সংস্থা আইএইচপিডি নির্বাহী পরিচালক মংছিংপ্রু মার্মাসহ প্রমুখ। অনুষ্ঠান শেষে নানান ফিতা কেটে মৈত্রী জল ছিটিয়ে উৎসবটি উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সামসুন নাহার সুমি।
এ সময় প্রধান অতিথি বলেন, সাংগ্রাই পোয়ে এটি আমাদের একটি সামাজিক উৎসব। সারা বছর ধরে আমরা এই দিনটি অপেক্ষায় থাকি। মৈত্রী জলকেলী উৎসবের মাধ্যমে মারমা সম্প্রদায় পুরোনো বছরের দুঃখ-গ্লনি, ব্যর্থতা মুছে নতুন বছরে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করে থাকি।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.