“পানিতে ডুবা প্রতিরোধে অন্তত একটি উদ্যোগ নেই” ন্যাশনাল এ্যালায়েন্স ফর ড্রাউনিং প্রিভেনশন (এনএডিপি) এর আহ্ববায়ক সদরুল হাসান মজুমদারের বিশেষ সাক্ষাৎকার

Published: 25 Jul 2022   Monday   

“পানিতে ডুবা প্রতিরোধে অন্তত একটি উদ্যোগ নেই” এই প্রতিপাদ্য কে সামনে রেখে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও আজ২৫ জুলাই বিশ্ব পানিতে ডুবা প্রতিরোধ দিবস ২০২২পালিত হচ্ছে। ন্যাশনাল এ্যালায়েন্স ফর ড্রাউনিং প্রিভেনশন (এনএডিপি) এর আহŸায়ক সদরুল হাসান মজুমদার পানিতে ডুবা প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি এবং পানিতে ডুবা প্রতিরোধে জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত রেজুলেশনের আলোকে বাংলাদেশে পানিতে ডুবা প্রতিরোধে জাতীয় কর্মকৌশল প্রণয়নে কাজ করছেন। এ দিবস উপলক্ষে  সদরুল হাসান মজুমদারের একান্ত সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন হিলবিডি টোয়েন্টিফোর এর সহযোগী সম্পাদক রূপায়ন তালুকদার। নিম্নে সাক্ষাৎকারের বিশেষ বিশেষ দিক তুলে ধরা হলো ঃ

রূপায়ন তালুকদারঃ- পানিতে ডুবার বিশ্ব পরিস্থিতি কী?

সদরুল মজুমদারঃ- বিশ্বব্যাপী পানিতে ডুবাকে আকস্মিক মৃত্যুর তৃতীয় বৃহত্তম কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০১৯ রিপোর্ট অনুযায়ী বর্তমানে বছরে ২ লক্ষ ৩৬ হাজার জন মানুষ পানিতে ডুবে প্রাণ হারায়, যার ৯০ শতাংশ ঘটে নিন্ম এবং মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যানে আরো দেখা যায় বিশ্বব্যাপী প্রতিদিন প্রায় ১০০০ জন মানুষ পানিতে ডুবে মৃত্যুবরণ করে অর্থাৎ প্রতি ঘন্টায় ৪২ জন এবং প্রতি ৮০ সেকেন্ডে ১ জন মৃত্যুবরণ করে। সংস্থার তথ্য মতে, বিশ্বে পানিতে ডুবে প্রতিবছর কমপক্ষে ১২০০০ শিশু মৃত্যুবরণ করে যা সকল শিশু মৃত্যুর প্রায় ৪৩% এর সমতুল্য। এই সংখ্যা অপুষ্টিজনিত মৃত্যুর দুই-তৃতীয়াংশ এবং ম্যালেরিয়াজনিত মৃত্যুর সংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পানিতে ডুবে মৃত্যুকে শিশু এবং তরুণ বয়সের মৃত্যুর প্রধান ১০টি কারণের মধ্যে একটি বলে উল্লেখ করেছে। বিশ্বব্যাপী পানিতে ডুবে মৃত্যুর সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে ১-৪ বছর বয়সী শিশুরা যাদের ৫০% এরও বেশী ৩য় জন্মদিনের আগেই মৃত্যুবরণ করে। অনূর্ধ্ব পাঁচ বছর বয়সী শিশুরা পানিতে ডুবে মৃত্যুর সবচেয়ে বেশী ঝুঁকিতে রয়েছে যেখানে মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের পানিতে ডুবে মৃত্যুর আশংকা দ্বিগুণ।
    
রূপায়ন তালুকদারঃ- বাংলাদেশে পানিতে ডুবার পরিস্থিতি কী?

সদরুল মজুমদারঃ- বাংলাদেশ হেল্থ অ্যান্ড ইনজুরি সার্ভে ২০১৬ অনুযায়ী প্রতি বছর সকল বয়সের প্রায় ১৯ হাজার মানুষ পানিতে ডুবে মৃত্যুবরণ করে। উক্ত প্রতিবেদন অনুসারে অনূর্ধ্ব ১৮ বছরের ১৪ হাজার ৫০০ জন শিশু পানিতে ডুবে মৃত্যুবরণ করে। উল্লেখ্য, ১-৫ বছর বয়সী শিশুদের পানিতে ডুবে মৃত্যুর ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি এবং ৫-৯ বছরের শিশুদের পানিতে ডুবে মৃত্যুর ঝুঁকি অপেক্ষাকৃত কম। গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর প্রায় ৬৮% ঘটে থাকে সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ১ টার মধ্যে, যে সময়ে পরিবারের অন্যান্য সদস্য বিশেষ করে মায়েরা গৃহস্থালী কাজে ব্যস্ত থাকেন। দুঃখজনক হলেও সত্য পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর এই ঘটনা ঘটে থাকে ঘর থেকে মাত্র ৪০ কদম দূরে যেমন পুকুরে (৬৬%) এবং অন্যান্য জলাধারে (১৬%)।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে পানিতে ডুবে মৃত্যুর হার অন্যান্য নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশের তুলনায় পাঁচগুণ বেশি। রয়্যাল লাইফ সেভিং সোসাইটির তথ্য অনুযায়ী পানিতে ডুবে মৃত্যুর হার বিবেচনায় বাংলাদেশ কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে পঞ্চম।

বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক অ্যান্ড হেলথ সার্ভে ২০১৭-২০১৮ অনুযায়ী, ১-৫ বছর বয়সী ৫৮% শিশু পানিতে ডুবে মৃত্যুবরণ করে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো প্রকাশিত বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস ২০২০ অনুযায়ী অনূর্ধ্ব ৫ বছরের শিশুদের পানিতে ডুবে মৃত্যুর হার গ্রামাঞ্চলে ৯.৭% এবং শহরাঞ্চলে ৭%; যা একই বয়সী শিশুদের নিউমোনিয়াজনিত মৃত্যু হারের চেয়ে একটু কম।

রূপায়ন তালুকদারঃ- বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে কী কী কারণে পানিতে ডুবার ঘটনা ঘটে?

সদরুল মজুমদারঃ- জনস্বাস্থ্য গবেষকগণ পানিতে ডুবার বহুমুখী কারণ চিহ্নিত করেছেন। যেমন বিভিন্ন জলাধার বিশেষ করে বাড়ির নিকটবর্তী পুকুর বেড়া না দিয়ে রাখা, অনূর্ধ্ব ৫ বছরের শিশুদের প্রাতিষ্ঠানিক সুরক্ষার অপ্রতুলতা, ঢাকনাবিহীন কিংবা অরক্ষিত পানি সরবরাহ ব্যবস্থা, জলাধার পারাপারের অব্যবস্থাপনা, পানি সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি সম্পর্কে অসচেতনতা, পানির আশেপাশে ঝুঁকিপূর্ণ আচরণ যেমন একা একা সাঁতার কাটা, নৌ পথে চলাচল বিশেষ করে ঝুঁকিপূর্ণ নৌযান ব্যবহার ও নৌযানে অতিরিক্ত যাত্রী বহন, অতিরিক্ত ঝড়-বৃষ্টি, সুনামি কিংবা জলোচ্ছাসের কারণে সৃষ্ট বন্যা ইত্যাদি। শিশুদের একা রেখে বাবা-মায়েদের দীর্ঘ সময়ের জন্য কাজের উদ্দেশ্যে বাড়ির বাইরে অবস্থান করার কারণে অনূর্ধ্ব ৫ বছরের শিশুদের পানিতে ডুবার ঘটনা বেশি ঘটে।

রূপায়ন তালুকদারঃ- পানিতে ডুবা প্রতিরোধে সম্ভাব্য সমাধান কী কী?

সদরুল মজুমদারঃ- বাংলাদেশেরপ্রেক্ষাপটে পরীক্ষিত পানিতে ডুবা প্রতিরোধে কার্যকরী উদ্যোগ, যেমনজলাধারের প্রবেশ পথ সুরক্ষিত রাখা, অনূর্ধ্ব ৫ বছরের শিশুদের প্রাতিষ্ঠানিক সুরক্ষার ব্যবস্থা করা এবং ৫ বছরের অধিক বয়সী শিশুদের সাঁতার প্রশিক্ষণ দেওয়া ইত্যাদি পৃথিবীর অন্যান্য দেশ এবং অঞ্চলেও কার্যকর পদক্ষেপ হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।

পানিতে ডুবা প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি বন্যা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার উন্নয়ন, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন সংশ্লিষ্ট নীতিমালার যথাযথ বাস্তবায়ন এবং পানিতে ডুবা প্রতিরোধে জাতীয় নীতিমালা গ্রহণের মাধ্যমে পানিতে ডুবার হার নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। পানিতে ডুবা প্রতিরোধে সমন্বিত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ব্যাপক মানুষকে বিজ্ঞানভিক্তিক প্রাথমিক পরিচর্যা বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও সচেতন করতে হবে যেন তারা প্রচলিত ক্ষতিকর পন্থা অবলম্বন থেকে বিরত থাকে। সর্বোপরি পানিতে ডুবা প্রতিরোধে ব্যাপক মানুষকে সচেতন করা অত্যন্ত জরুরী।

রূপায়ন তালুকদারঃ- আপনি ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স ফর ড্রাউনিং প্রিভেনশন (এনএডিপি) করার উদ্যোগ নিয়েছেন কেন?

সদরুল মজুমদারঃ- যে কোনো কাজে সফল হতে সম্মিলিত প্রয়াসের কোন বিকল্প নেই। পানিতে ডুবা মৃত্যুর হার কমিয়ে আনতে হলে চাই ব্যাপক সচেতনতা, জনসস্পৃক্ততা। ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে আমাদের দেশ বিশ্বের অন্যতম প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ দেশ। এদেশে বন্যা, জলোচ্ছাসের মতো নৌ দুর্ঘটনা প্রায় ঘটে থাকে। দেশের নিন্মাঞ্চল ও উপকূলীয় এলাকার মানুষেরা পানিতে ডুবে মৃত্যুর অপেক্ষাকৃত বেশি ঝুঁকিতে থাকেন। সুতরাং যাদের ঝুঁকি বেশি তাদের মাঝে সচেতনতার বার্তা বেশি বেশি প্রচার করতে হবে।

স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও এনজিও প্রতিনিধিদের সমন্বয়ের মাধ্যমে ব্যাপক মানুষের মাঝে পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধের বার্তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য এনএডিপি কাজ করে যাচ্ছে কিন্তু  জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব থেকে পরিবেশের সুরক্ষা, নৌযান দুর্ঘটনা প্রতিরোধে বিদ্যমান আইনের যথাযথ প্রয়োগ, শৃঙ্খলা ও আইন মেনে নৌযান পরিচালনা নিশ্চিত করা, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্ভাব্য আগাম সতর্কতার মাধ্যমে বন্যা, অতিবর্ষণ, জলোচ্ছাস ইত্যাদি থেকে মানুষ সঠিক সময়ে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এনএডিপির সদস্য সংগঠন সমূহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সমন্বয়ে নিজ নিজ জেলায় কাজ করবে।

রূপায়ন তালুকদারঃ- পানিতে ডুবা প্রতিরোধ বিষয়ক জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ কর্তৃক রেজুলেশন গ্রহণে বাংলাদেশের ভূমিকা কী?

সদরুল মজুমদারঃ- জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ২৯ এপ্রিল ২০২১ তারিখে পানিতে ডুবাপ্রতিরোধ বিষয়ক ঐতিহাসিক রেজুলেশন সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করে। প্রথমবারের মতো জাতিসংঘে গৃহীত এই রেজুলেশনটি উত্থাপন করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত তৎকালীন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। রেজুলেশনটিতে পানিতে ডুবা-কে একটি ‘নীরব মহামারি’ হিসেবে হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। নীরব এই বৈশ্বিক মহামারির বিষয়টিকে আন্তর্জাতিক প্লাটফর্মে তুলে ধরতে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন বিগত ২০১৮ সালে থেকে কাজ করে যাচ্ছে। দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় বাংলাদেশের পাশাপাশি রেজুলেশনটিতে সহ-নেতৃত্ব দেয় আয়ারল্যান্ড আর এতে সহ-পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করে ৮১ টি দেশ। রেজুলেশনটি পানিতে ডুবা-কে একটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক উন্নয়ন ইস্যু হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করে, যা জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্র দ্বারা স্বীকৃত।রেজুলেশনটি উত্থাপনের প্রাক্কালে প্রদত্ত বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেন, “ পানিতে ডুবা প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে বৃহত্তর বৈশ্বিক রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি আদায়ের লক্ষ্যে  জাতিসংঘকর্তৃক রেজুলেশন গ্রহণের তাগিদ অনুভব করেছিল বাংলাদেশ; আর সে কারণেই এই প্রচেষ্টায় জাতিসংঘে বাংলাদেশ নেতৃত্ব দিতে পেরে সম্মানিত বোধ করছে”।

রূপায়ন তালুকদারঃ- কোন প্রেক্ষাপটে ২৫ জুলাইকে জাতিসংঘ বিশ্ব পানিতে ডুবা প্রতিরোধ দিবস ঘোষণা করে?

সদরুল মজুমদারঃ- পানিতে ডুবা প্রতিরোধ বিষয়ক ঐতিহাসিক রেজুলেশনেপানিতে ডুবা বিশ্বের প্রতিটি জাতিকেই ক্ষতিগ্রস্থ করছে মর্মে উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি অগ্রহণযোগ্য উচ্চহারের এই মৃত্যু প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনার্থে একটি কর্ম-কাঠামোও প্রদান করা হয়েছে। রেজুলেশনটিতে আরও বলা হয়েছে, পানিতে ডুবা-র মতো প্রতিরোধযোগ্য কারণেও বিভিন্ন্ দেশে শিশু ও কিশোর-কিশোরীগণ অকালে প্রাণ হারাচ্ছে। পানিতে ডুবা প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টি, জাতীয় পদক্ষেপকে উৎসাহিত করা এবং এ বিষয়ক সর্বোত্তম অনুশীলন ও সমাধানসমূহ পারষ্পরিকভাবে ভাগ করে নেওয়ার লক্ষ্যে ২৫ জুলাইকে ‘বিশ্ব পানিতে ডুবা প্রতিরোধ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ।

রূপায়ন তালুকদারঃ- পানিতে ডুবা প্রতিরোধ বিষয়ক জাতিসংঘ রেজুলেশন সদস্য দেশগুলির উপর কী প্রভাব ফেলবে?

সদরুল মজুমদারঃ- রেজুলেশনটি গ্রহনের পূর্ব পর্যন্ত পানিতে ডুবার ভয়াবহতার তুলনায় কমিউনিটি, বেসরকারী সংস্থা, এমন কি বিভিন্ন দেশের সরকারও এর প্রতিরোধে তেমন কোন উদ্যোগ গ্রহণ করে নাই। রাষ্টদূত রাবাব ফাতিমা তার বক্তব্যে বলেন, “আমরা বিশ্বব্যাপী শিশু মৃত্যুর হার হ্রাস করতে সক্ষম হয়েছি, আমরা যদি পানিতে ডুবা’র হার-কে শুণ্যের কোটায় না আনতে পারি তবে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় আমাদের সাফল্য অর্থাৎ এসডিজি-৩ অর্জন অসম্পূর্ণ থেকে যাবে”। রেজিলুশনটি বিশ্ব নেতৃবৃন্দ, উন্নয়ন সহায়ক গোষ্ঠীসহ সকল অংশীজনদের পানিতে ডুবা প্রতিরোধে সহজলভ্য সমাধান চিহিœত করেএবং বিজ্ঞানভিত্তিক প্রমাণ নির্ভর প্রতিকারসমূহকে টেক্সই করার লক্ষে নীতিমালা প্রণয়নে রাষ্ট্রসমূহকে উদ্বুদ্ধ করবে। উল্লেখ্য রেজুলেশন গ্রহণের এক বছরের মধ্যেই বাংলাদেশ সরকার পানিতে ডুবা প্রতিরোধে ২৭১ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে যা মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর মাধ্যমে ১৬টি জেলায় বাস্তবায়ন করবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচীর নেতৃত্বে বাংলাদেশে পানিতে ডুবা প্রতিরোধে জাতীয় কর্মকৌশল প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে যা অনতিবিলম্বে সরকার অনুমোদন করবে বলে আমরা আশা করছি।
    
রূপায়ন তালুকদারঃ- বিশ্ব পানিতে ডুবা প্রতিরোধ দিবস উদ্যাপনে কী কী উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে ?

সদরুল মজুমদারঃ- বিশ্বব্যাপী দিবসটি উদ্যাপন উপলক্ষে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছে। “পানিতে ডুবা প্রতিরোধে অন্তত একটি উদ্যোগ নেই” এই  প্রতিপাদ্য কে সামনে রেখে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সংশ্লিষ্ট সরকারী অংশীজন, দেশী-বিদেশী বেসরকারী সংস্থা, ইউনিসেফ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রায় ৭০০ প্রতিনিধিকে নিয়ে একটি ভার্চুয়াল সভার আয়োজন করেছে। এছাড়াও বাংলাদেশ শিশু একাডেমী, গণ-স্বাক্ষরতা অভিযান দিবসটিকে নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে। গণ-মাধ্যমগুলো এই দিবসকে কেন্দ্র করে জন-সচেতনতায় বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা প্রচার করছে।

রূপায়ন তালুকদারঃ- ধন্যবাদ আপনাকে
সদরুল মজুমদারঃ- আপনাকেও ধন্যবাদ।




উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত