রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা রাঙামাটির পর্যটনকে অররও উন্নয়নের লক্ষ্যে নতুন নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করে পর্যটকদের প্রতি আরও আকর্ষন বাড়ানোর গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি বলেন, পর্যটন সেক্টরকে ঘিরে এখানকার অনেক প্রতিষ্ঠান ও জনজীবন সম্পৃক্ত রয়েছে। এখানকার উৎপাদিত হস্থশিল্প সামগ্রী, যানবাহন, হোটেল, মোটেল ও সংস্কৃতি সবকিছুই এ পর্যটন সেক্টরের সাথে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। তাই এ সেক্টরকে আরও উন্নয়ন করতে মাষ্টার প্লানের মাধ্যমে কনসালটেন্ট নিয়োগের করা হবে।
রোববার রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে পরিষদের মাসিক সভায় সভাপতির বক্তব্যে পরিষদ চেয়ারম্যান একথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আলোচনা পর্যালোচনার মাধ্যমে জেলার দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। জেলার বসবাসরত মানুষের কল্যাণের লক্ষ্যে বিভাগীয় প্রধানদের পরিষদে অনুষ্ঠিত প্রত্যেক মাসিক ও উন্নয়নসভায় উপস্থিত থেকে সুপরামর্শ ও মতামত প্রদানেরও তিনি আহ্বান জানান।
জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম জাকির হোসেনের পরিচালনায় সভায় পরিষদের নব নিযুক্ত সদস্যগন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মনতোষ চাকমা, জনসংযোগ কর্তকর্তা অরুনেন্দু ত্রিপুরা, সহকারী প্রকৌশলী পরাক্রম চাকমাসহ হস্থান্তরিত বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতিনিধি জানান, জেলায় স্বাস্থ্য বিভাগের উন্নয়নে কনসালটেন্ট নিয়োগের জন্য মন্ত্রনালয়ে পত্র প্রেরন করা হয়েছে। এছাড়া রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের বাউন্ডারী দেওয়ালের পাশে যেসব অবৈধ স্থাপনা রয়েছে সে স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ্দের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জেলা প্রশাসনকে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার প্রতনিধি জানান, জেলার ২টি আবাসিক বিদ্যালয়ের জন্য এখনো কোন বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। এছাড়া সংস্কারের জন্য জেলার জরাজীর্ণ মোট ২৬টি বিদ্যালয়ের তালিকা ইতোমধ্যে জেলা পরিষদেও কাছে প্রেরণ করা হয়েছে। সপ্তম শ্রেণীতে মেধা ভিত্তিক বৃত্তি ফলাফল চুড়ান্ত করা হয়েছে খুব শীর্ঘই আনুষ্ঠানিকভাবে শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করা হবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.