চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ঘটনায় নিহত ফায়ার ফাইটার নিপন চাকমা তার সহকর্মীদের সাথে তোলা ছবি এখন কেবলই স্মৃতি। অপর ফায়ার ফাইটার মিঠু দেওয়ানেরও। শনিবার ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় বিস্ফোরণ ঘটলে রাঙামাটির দুই সন্তান মিঠু দেওয়ান (৫২) ও নিপন চাকমা (৪৭) মৃত্যুবরণ করেন।
জানা গেছে, ফায়ার ফাইটার মিঠু দেওয়ান ফায়ার সার্ভিসের কুমিরা শাখায় ও নিপন চাকমা সীতাকুন্ড শাখায় লিডার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। নিহত মিঠু দেওয়ানের বাড়ী রাঙামাটি শহরের শহরের পশ্চিম ট্রাইবেল আদাম এলাকায় এবং অপর নিহত নিপন চাকমার গ্রামের বাড়ী আজাছড়া নো আদামে হলেও বর্তমানে তিনি শহরের কলেজ গেইট এলাকার সুদিপ্তা দেওয়ান পাড়ায় তার পরিবার রয়েছে। নিহত দুজন এর আগে রাঙামাটি ফায়ার সার্ভিস রাঙামাটি কার্যালয়ে কর্মরত ছিলেন। দুজনই লিডার পদবী দায়িত্বরত ছিলেন।
মিঠু দেওয়ানের ছোটভাই ও নৃত্যশিল্পী টিটু দেওয়ানের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তার বড় ভাইয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে পরিবারের প থেকে তার ছোট ভাই ঘটনাস্থলে গেছে। তবে এখনো পর্যন্ত তার বড় ভাইয়ের মরদেহ শনাক্ত করা যায়নি। তবে অপর নিহত নিপন চাকমার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
রাঙামাটি ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স এর ষ্টেশন অফিসার মোঃ বিল্লাল হোসেন জানান, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের নিহত কর্মীদের মধ্যে নিপন চাকমা ও মিঠু দেওয়ানের বাড়ী রাঙামাটিতে। তাদের মধ্যে নিপন চাকমার মরদেহ শনাক্ত করা হয়েছে এবং মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। অপরদিকে নিহত মিঠু দেওয়ানের মরদেহ শনাক্তের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তিনি আরো জানান, নিহত দুজই রাঙামাটি ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স এর কর্মরত ছিলেন। পরে নিপন চাকমা বদলি হয়ে ফায়ার সার্ভিসের সীতাকুন্ড শাখায় এবং মিঠু দেওয়ান কুমিরা শাখা যোগদান করেন।
উল্লেখ্য, গেল শনিবার (৪ জুন) দিবাগত রাতে চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের খবর জানতে পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের চট্টগ্রাম ও আশপাশের সকল ফায়ার স্টেশনের কর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান আগুন নেভাতে। দুর্ঘটনার এক পর্যায়ে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটলে ফ্রন্টলাইনে কাজ করা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গুরুতর আহত হন। এতে মিঠু দেওয়ান ও নিপন চাকমাসহ ৭ জন ফায়ার যোদ্ধা নিহত হন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.