স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তি শৃঙ্খলা রায় যে বাহিনী প্রয়োজন হবে সেই বাহিনীই মোতায়েন করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন । তিনি বলেন পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি শৃংখলা রক্ষায় প্রয়োজনে র্যাব সহ আরো বেশি পুলিশ মোতায়েন করা হবে। তিনি বলেন পুলিশ বাহিনী এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি সম। পুলিশ এখন যে কোন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে প্রস্তুত ।
তিনি আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি শৃংখলা বজায় রাখতে পরিত্যক্ত সেনা ক্যাম্পগুলোতে ধীরে ধীরে পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষে সেনাবাহিনী দীর্ঘ কাল ধরে কাজ করছে তাদের সাথে সাথে আলাপ-আলোচনা করে এবং চুক্তির আলোকে এই পরিত্যক্ত ক্যাম্পগুলোতে পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে পার্বত্য শান্তি চুক্তির ভূমি কমিশনসহ সব বিষয়ে আলাপ-আলাচনা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করে পার্বত্য শান্তি চুক্তি ধীরে ধীরে সবগুলো বিষয়ে বাস্তবায়ন করা হবে বলেও তিনি জানান।
বুধবার রাতে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক সম্মেলন কে তিন পার্বত্য জেলার বিশেষ আইন শৃংখলা সংক্রান্ত বিশেষ সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্যমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা(সন্তু লারমা), টাস্খফোর্স চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি, রাঙামাটি আসনের সাংসদ দীপংকর তালুকদার, সংরক্ষিম মহিলা আসনের সাংসদ বাসন্তী চাকমা, মন্ত্রী পরিষদের সচিব খন্দখার আরোয়ারুল ইসলাম, চট্টগ্রাম ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মোঃ সাইফুল আবেদীন, পুলিশ প্রধান বেনজির আহমেদ, বিজিবির ডিজি মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ, ডিজিএফআইয়ের প্রধান মেজর জেনারেল আহম্মদ তাবরেজ শামস চৌধুরী, এনআইএসআইয়ের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল টিএম জোবায়ের, পার্বত্য সচিব হামিদাসহ , তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানগণ, তিন পার্বত্য জেলা প্রশাসকগণসহ সামরিক ও বেসামরিক প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক সূত্র জানা যায় , তিন পার্বত্য জেলার আইন শৃংখলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা ছাড়াও পার্বত্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.