সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী ১৫মে`র মধ্যে যে কোন দিন খাগড়াছড়ি,রাঙামাটি,বান্দরবান সংযোগ সড়কটি যে কোন দিন প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন। এর ফলে পর্যটনের দিক দিয়ে বান্দরবানের সম্ভাবনার দুয়ার খুলে যাবে। এই সংযোগ সড়কটি চালু হলে এই সব জেলার লোকজন ও পর্যটকেরা আনায়াসে পাহাড়ে আসা যাওয়া করতে পারবে। সড়ক গুলি উন্মোক্ত হলে পাহাড়ের কৃষক সমাজ তাদের উৎপাদিত পন্য সামগ্রী জেলার বাইরে আমদানি রফতানিতেও সহায়ক ভুমিকা পালন করবেন।
শনিবার বান্দরবানের কেরানীহাট সড়কসহ বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ণ স্পট পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের এক প্রেস ব্রিফিং-এ তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি,জেলা প্রশাসক মোঃ মিজানুল হক চৌধুরী,পুলিশ সুপার দেবদাস ভট্ট্যাচার্য, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ রফিকুল ইসলাম,তত্তাবধায় প্রকৌশলী(চট্টগ্রাম) মোহাম্মদ সাইফুর ইসলাম, বান্দরবান সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইউসুফসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সেতুমন্ত্রী সকালে বান্দরবান উন্নয়ন বোর্ডের রেষ্ট হাউজে পৌছান। পরে তিনি বান্দরবান কেরানিহাট সড়কের বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ণ স্পট পরিক্ষা নিরিক্ষা করে সরাসরি সাতকানিয়া উপজেলার দস্তিদার হাঁট সংলগ্ন নতুন সড়ক পরিদর্শন করেন। পরে সেখান থেকে তিনি চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, সন্তু লারমা পার্বত্য চট্টগ্রামে একজন জনপ্রিয় নেতা। তার প্রতি আমার অনুরোধ পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির আগে কি ছিল আর এখন শান্তি চুক্তির পরে দৃশ্যমান কি হয়েছে তার দেখা উচিত। তিনি বলেন পার্বত্য শান্তি চুক্তি জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই সম্পাদিত হয়েছিল। আর এখন শেখ হাসিনার সরকারই এ ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তির সকল ধারা বাস্তবায়ন করবে।
তিনি আরও বলেন আগামী সংসদ অধিবেশনে ভুমি আইনের খসড়া উত্থাপন করে তা আইনে পরিনত করে পাশ করা হবে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে সড়ক মন্ত্রী বলেন, পার্বত্য বান্দরবান আগামীতে কক্সবাজারের ছেয়ে আরও উন্নতমানের পর্যটন নগরী হিসেবে পরিগণিত হবে। জননেত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নে এতই আন্তরিক যে তিনি সব সময় পার্বত্য চট্টগ্রামের খবরা-খবর রাখেন।
তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল প্রকার যোগাযোগের উন্নয়নের জন্য তার মন্ত্রনালয় সব সময় আন্তরিকভাবে কাজ করছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.