মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস শনিবার রাঙামাটিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে রাঙামাটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ৩১ বার তোপধ্বনীর মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। এতে সরকারের পক্ষে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা। এছাড়া পুষ্প স্তবক অর্পন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রæ চৌধুরী, পুলিশ সুপার মীর মোদদাছছের হোসেনসহ বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা। পরে রাঙামাটি চিংহা মং মারী স্টেডিয়ামে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কুচকাওয়াজের সালাম গ্রহন করেন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার। পরে শিক্ষর্থীদের মনোজ্ঞ ডিসপ্লে প্রদর্শিত হয়।
এদিকে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে জেলা মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এতে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুই প্রæ চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। বক্তব্যে দেন জেলা পুলিশ সুপার মীর মোদ্দাছ্ছের, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য হাজী কামাল উদ্দিন, জেলা পরিষদ সদস্য অংশু ছাইন চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ রুহুল আমীন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাঃ আশরাফুল ইসলাম। এ সময় রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্যবৃন্দ যথাক্রমে সদস্য ঝর্ণা খীসা, সদস্য দিপ্তীময় তালুকদার, সদস্য অংসুই ছাইন চৌধুরী, সদস্য সবির কুমার চাকমা, সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়াসহ পরিষদে হস্তান্তরিত বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা ও রাঙ্গামাটির বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান শেষে ৬জন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের প্রত্যেক পরিবারকে ৫হাজার, ৪০জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে ২হাজার এবং ২৫জন মৃত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের প্রত্যেকের মাঝে ২হাজার টাকাসহ প্রত্যেককে উপহারসামগ্রী প্রদান করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সকল মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ডাকে মুক্তিযোদ্ধারা দেশ স্বাধীন করার জন্য যুদ্ধে অংশ নিয়েছিল বলেই আজ আমরা একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ পেয়েছি। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান অপরিসীম। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগের বিনিময়ে আজ আমরা স্বাধীনতার পাশাপাশি বাংলাদেশ নামের একটি দেশ পেয়েছি। তাদের এই আতœত্যাগের মূল্য কিছুতেই শোধ হবে না।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.