চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিষ্টার রাজা দেবাশীষ রায় ভিসিএফ বা পাড়া বন কার্যক্রমকে আরও বেগবান করা দরকার বলে মন্তব্য করে বলেছেন, বৈশ্বিক জলবায়ুর ক্ষতিজনিত পরিবর্তন মোকাবেলায় পার্বত্য চট্টগ্রামে পাড়াবনের ভূমিকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। ছড়া, খাল এবং নদীর নাব্যতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে পাড়াবনগুলো বেশ ভালো ভূমিকা রাখছে।
তিনি আরো বলেন, সরকারি বনের তুলনায় পাড়াবনগুেলাতে গাছ এবং প্রাণী বৈচিত্র্য রয়েছে। ভিসিএফের কারণে ব্যক্তি, সমাজ এবং গোটা বিশে^র মানুষ সুফল পাচ্ছে। তিনি পাড়াবন সুরক্ষায় জেলা পরিষদের সহযোগিতা কামনা করেন। পরিষদ প্রাতিষ্ঠানিকভাবে পাড়াবনগুলো স্বীকৃতি দিলে এর ধারাবাহিকতা রক্ষা পাবে।
বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) সকালে পরিষদের সভাকক্ষে (এনেক্স ভবন) চিটাগং হিল ট্রাক্টস ওয়াটারসেড হো-ম্যানেজমেন্ট একটিভিটি( সিএইচটিডব্লিসিএ) প্রকল্পের ভিসিএফ নেটওয়ার্ক কমিটি পুনর্গঠন কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুইপ্রæ চৌধুরী। এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য সবির কুমার চাকমা। এ সময় ইউএনডিপির জেলা ব্যবস্থাপক ঐশ^র্য চাকমা, তিন জেলার ভিসিএফ নেটওর্য়াক কমিটির কেন্দ্রীয় ও জেলা উপজেলা কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন, বন, পরিবেশ, জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণে পাড়াবনের বিশেষ ভূমিকা আছে। পাড়াবনের পাশাপাশি পতিত জমিতে বন সৃজন করার জন্য একটি প্রকল্প প্রস্তাব করা হবে। বন নির্ভরশীল পরিবারকে আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য বিকল্প উন্নয়ন প্রকল্প প্রণয়ন করতে হবে। পরিকল্পিত বন পার্বত্য চট্টগ্রাম তথা দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব রাখবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.