রোববার খাগড়াছড়ির লক্ষীছড়ি উপজেলার বর্মাছড়ি ইউনিয়নের কুদুকছড়ি বাজার মাঠে এক ছাত্র সমাবেশ করেছে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)।
পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ লক্ষীছড়ি উপজেলা শাখাদপ্তর সম্পাদক রুপায়ন চাকমার পাঠানো বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিবৃতিতে বলা হয়, পিসিপির লক্ষীছড়ি উপজেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত ছাত্র সমাবেশে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের লক্ষীছড়ি উপজেলা শাখার সভাপতি রুপান্তর চাকমার সভাপতিত্বে ও সহ-সভাপতি রিটন চাকমা সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর লক্ষীছড়ি উপজেলা সংগঠক সরল চাকমা, পিসিপি`র কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অমল ত্রিপুরা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ-সাধারন সম্পাদক সুদেব চাকমা, জাতিসত্তা মুক্তি সংগ্রাম পরিষদের সদস্য বিনোদ মুন্ডা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের লক্ষীছড়ি উপজেলা শাখার সভাপতি পাইচি মারমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশন লক্ষীছড়ি উপজেলা শাখার সদস্য সুপ্রভা চাকমা প্রমুখ। ছাত্র সমাবেশ শেষে একটি র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি কুদুকছড়ি বাজার মাঠ থেকে শুরু হয়ে কুদুকছড়ি বাজার প্রদণি করে দশবল বৌদ্ধবিহার গেইটে গিয়ে এক সংপ্তি সমাবেশের মাধ্যমে সমাপ্তা হয়।
ইউপিডিএফ-এর সংগঠক সরল চাকমা বলেন, ব্যক্তির ব্যক্তিত্বের পরিপুর্ণ বিকাশের জন্য প্রয়োজন হয় তার নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্যসহ রাজনৈতিক অধিকার। কিন্তু এই ফ্যাসিবাদী সরকার এদেশের নাগরিকদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করে করে রেখেছে।
পিসিপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অমল ত্রিপুরা বলেন ‘পার্বত্য চট্টগ্রামের মানসম্মত শিা নেই, অবকাঠামো উন্নয়ন ঘটেনি, ছাত্রবাস চালু নেই, পর্যাপ্ত শিকের অভাব রয়েছে। তাই এ সকল দাবি আদায়সহ শিার্থীদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের ল্েয ছাত্র সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে’।
পিসিপি নেতা অমল ত্রিপুরা বলেন, সরকার শিাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে দেশে সকল কিছু প্রতিষ্ঠান খোলা রেখেছে। শিাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারাদেশে শিা ব্যবস্থার চরম অবনতি দেখা দিয়েছে ও বিপর্যয় ঘটেছে। গত ৪ ফেব্রæয়ারি পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক এক জরিপে দেখা গেছে করোনাকালীন তিন পার্বত্য জেলায় ২৫টি উপজেলায় ১,৬৫৩টি বাল্যবিবাহ হয়েছে এবং দারিদ্র্যতার ফলে ৫,০৩৭জন শিার্থী ঝড়ে পড়েছে। এটির মাধ্যমে স্পষ্ট হয় যে পাহাড়ে শিা ব্যবস্থা কোন পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। সমাবেশ থেকে তিনি শিার্থীদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের লে ছাত্র সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য আহŸান জানান।
জাতিসত্তা মুক্তি সংগ্রাম পরিষদের সদস্য বিনোদ মুন্ডা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারা দেশে সংখ্যালঘু জাতিসত্তাদের কোন নিরাপত্তা নেই, তাঁদের ভাষা, সংস্কৃতি, ঐতিহ্যকে ধ্বংস করার জন্য সরকার একের পর এক চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে।
--প্রেস বিজ্ঞপ্তি।