প্রত্যন্ত পাহাড়ি এলাকার কিশোরী ও যুবাদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়ে জ্ঞান ও সামর্থ্য একেবারেই সীমিত। ফলে শারীরবৃত্তীয় এই সময়কালে তাঁদের জীবন অনেক ঝুঁকিপূর্ন হয়ে উঠে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে খাগড়াছড়িতে দুই বছর ধরে কাজ করছে ‘বালাদেশ নারী প্রগতি সংঘ (বিএনপিএস)’।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন’র সহযোগিতায় তিন পার্বত্য জেলার ১০টি স্থানীয় এনজিও ‘আমাদের জীবন, আমাদের স্বাস্থ্য, আমাদের ভবিষ্যত’ নামে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
খাগড়াছড়িতে জাবারাং কল্যাণ সমিতি, তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থা এবং খাগড়াপুর মহিলা কল্যাণ সমিতি (কেএমকেএস) জেলার দীঘনালা, গুইমারা, পানছড়ি, খাগড়াছড়ি সদর ও মহালছড়ি উপজেলায় কাজ করছে। এ লক্ষ্যে সংগঠন তিনটি প্রত্যন্ত এলাকায় ৯০টি কিশোরী ক্লাব গঠন করেছে।
এ প্রকল্পের অগ্রগতি ও অভিজ্ঞা শেয়ার বিষয়ে বুধবার সকালে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের হল রুমে বিএনপিএস আয়োজিত একটি সভায় এসব আলোচনা উঠে আসে।
এসময় প্রকল্পটির বাস্তবায়ন কৌশল, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সর্ম্পকে মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন, বিএনপিএস’র মাস্টার ট্রেইনার দেওয়ান নবশ্বের ত্রিপুরা লায়ন।
সভায় বক্তারা বলেন, ভৌগলিকভাবে তিন পার্বত্য জেলার বেশিরভাগ প্রান্তিক মানুষের বসবাস দুর্গম পাহাড়ি এলাকাগুলোতে। সরকারি সেবা বরাদ্দ থাকলেও অনেক সময় তা নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়ে। এসব এলাকার কিশোরী ও যুবারা জীবনের তাগাদায় ছোটকাল থেকেই অনেক বেশি শ্রমনির্ভর কাজের মধ্য দিয়ে বেড়ে উঠেন।
সভায় প্রধান অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাগগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ।
অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা টিটন খীসা,সিভিল সার্জন ডাঃ নুপুর কান্তি দাশ, পরিবার পরিকল্পনার উপ-পরিচালক এমরান হোসেন চৌধুরী, খাগড়াছড়ি বিএনপিএস’র কর্মকর্তা সঞ্জয় মজুমদার, কেএমকেএস’র নির্বাহী পরিচালক শেফালিকা ত্রিপুরা, জাবারাং কল্যাণ সমিতি’র নির্বাহী পরিচালক মথুরা বিকাশ ত্রিপুরাসহ বিভিন্ন উপজেলা সরকারী কর্মকর্তা , ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, মেম্বাররা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন খাগড়াপুর মহিলা কল্যান সমিতির নির্বাহী শেফালিকা ত্রিপুরা।
---হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/এ,ই