সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া বাংলাদেশের যেকোন বৌদ্ধবিহারে উন্নয়ন সম্ভব নয়। সেজন্য যতটুকু সম্ভব বিহার উন্নয়ন পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকার সমস্যা চিহ্নিত করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এলাকার উন্নয়ন করার চেষ্টা করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা।
শনিবার রাঙামাটি নানিয়ারচর উপজেলার ঘিলাছড়ির জুরাছড়ি বেনুবন অরণ্য কুটিরে দুদিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত প্রথম দানোত্তম কঠিন চীবর দানোৎসবে তিনি একথা বলেছেন।
বিহার প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত ধর্মীয় আলোচনায় ধর্ম দেশনা দেন রাঙামাটি রাজবন বিহারের আবাসিক প্রধান ও বিহার অধ্যক্ষ ভদন্ত শ্রীমৎ প্রজ্ঞালঙ্কার মহাস্থবির, কাটাছড়ি রাজবন ভাবনা কেন্দ্রের অধ্যক্ষ ভদন্ত শ্রীমৎ ইন্দ্রগুপ্ত মহাস্থবির,রাজবন বিহারের সিনিয়র ভিক্ষু ভদন্ত শ্রীমৎ জ্ঞানপ্রিয় মহাস্থবির ও তক্ষশীলা বনবিহারের সিনিয়র ভিক্ষু ভদন্ত শ্রীমৎ মহামিত্র ভিক্ষুসহ অন্যান্য প্রমূখ ভিক্ষু।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ইলিপন চাকমা, সাবেক উপমন্ত্রী মনিস্বপন দেওয়ান ও শ্বাসতী খীসা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জুরাছড়ি বেনুবন অরণ্য কুটির পরিচালনা কমিটির সভাপতি রূপায়ন চাকমা। এসময় অন্যান্যদের মধ্য উপস্থিত ছিলেন, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ঝর্ণা খীসাসহ বিহার পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দ। নিশা চাকমার (মুনিক্কো) অনুষ্ঠান পরিচালনায় অনুষ্ঠানে পঞ্চশীল পাঠ করেন অমরেশ শেখর চাকমা ও রূনা চাকমা। দানোৎসবকে ঘিরে দূর-দূরান্ত থেকে হাজারো পুণ্যার্থীর ঢল নামে। । হাজারো পুণ্যার্থীদের ভক্তি ও শ্রদ্ধায় মুখর হয়ে উঠে পুরো বিহার প্রাঙ্গণ। দুপুরে কল্পতরু ও কঠিন চীবরকে পুরো বিহার এলাকা প্রদণি করে আনন্দ শোভাযাত্রা করা হয়। বিশ্বের সকল প্রাণীর হিতসুখ ও মঙ্গল কামনায় এবং মহামারি করোনা ভাইরাস থেকে পরিত্রাণের জন্য নিরবতা (ভাবনা) ও মঙ্গল কামনা প্রার্থনা করেন পুণ্যার্থীরা।
এর আগে গৌতম বুদ্ধের প্রধান সেবিকা মহাপুণ্যবতী বিশাখা কর্তৃক প্রবর্তিত কঠিন চীবরকে ঘিরে বুদ্ধপুজা, বুদ্ধমূর্তিদান, সংঘদান, অষ্টপরিষ্কার দান, কঠিন চীবর দান, পঞ্চশীল প্রার্থনা, সুত্রপাঠ, ধর্মীয় দেশনা, কল্পতরু প্রদণি ও ফানুস বাতি উৎসর্গসহ নানাবিধ দান অনুষ্ঠিত হয়।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.