পুরাতন বছরের সমস্ত গ্লানিকে মূছে ফেলে নতুন বছরের শুভ কামনায় নদীতে জল দেবীর উদ্দেশ্য ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে রোববার থেকে তিন দিন ব্যাপী পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসীদের প্রধান সামাজিক উৎসব বিজু-সাংগ্রাই-বৈসুক-বিহু শুরু হয়েছে।
রাঙামাটিতে বিজু, সাংগ্রাই, বৈসুক, বিষু, বিহু-এর উদযাপন কমিটির উদ্যোগে রোববার সকালে রাজ বাড়ি বন বিহারের পূর্ব ঘাটে ফুল ভাসনো অনুষ্ঠানে উদ্ধোধক ও প্রধান অতিথি ছিলেন ২৯৯নং আসনের সাংসদ উষাতন তালুকদার। বক্তব্যে রাখেন বিজু উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক প্রকৃতি রঞ্জন চাকমা, বিজু উদযাপন কমিটির সমন্বয়ক বিজয় কেতন চাকমা ট্রাইবেল কনভেনশনের সদস্য সচিব রবীন্দ্র ব্রক্ষন দেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিজু উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ইন্টু মনি তালুদকাসহ আদিবাসী নেতৃবৃন্দ। বিকালে রাঙামাটি স্টেডিয়ামে আয়োজন করা হয় ঐতিহ্যবাহী বলি খেলা ও পুরুস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উষাতন তালুকদার এমপি দেশের উন্নতি সমবৃদ্ধি ও সবাইয়ের নিরাপদ জীবন কামনা করে বলেছেন, নতুন বছরের যাতে সুখে শান্তিতে থাকতে পারি এবং সবাই মিলেমিশে একসাথে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং মৌলিক ও মানবিক অধিকার নিয়ে পার্বত্যাঞ্চলে বসবাস করতে পারি।
শনিবার উৎসবের দ্বিতীয় দিন মূল বিজু। এ দিনে বাড়িতে বাড়িতে শুধূ চলে খাওয়া-দাওয়ার পর্ব ও আন›ন্দ-পূর্তি। বিভিন্ন রকমের সুস্বাদু খাবার দাবার আগত অতিথিদের পরিবেশন করা হয়। রোববার গজ্যাপজ্যা বিজু। আদিবাসীরা বিভিন্ন ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান এবং বয়ো জ্যেষ্ঠদের বাড়ীতে অপ্যায়নসহ আর্শীদ কামনা করে থাকে। মারমা সম্প্রদায়রা ঐতিহ্যবাহী পানি খেলার আয়োজন করে থাকে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে বসবাসরত ১৪টি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আদিবাসীরা এই উৎসবটি আদিবাসীরা বিভিন্ন নামের পালন করলেও এর নিবেদন একই। তাই এ উৎসবটি শুধু আনন্দের নয়, সমগ্র পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি সম্প্রদায়ের সামাজিক, রাজনৈতিক অর্থনৈতিক, ঐক্য ও মৈত্রী বন্ধনের প্রতীকও বটে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.