রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের সাথে সুইজারল্যান্ড ও সুইডেন রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাত

Published: 27 Oct 2021   Wednesday   

বুধবার রাঙামাটির বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নেতালি সুয়াত ও সুইডেনের রাষ্ট্রদূত এলক্সজান্দ্রা ব্রেক বন লিল্ডি রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাথে তার অফিসকক্ষে সাক্ষাত করেছেন। দুই দেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে এটা তাদের প্রথম সফর।

 

রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অফিস কক্ষে অংসুইপ্রæ চৌধুরীর সাথে সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নেতালি সুয়াত ও সুইডেনের রাষ্ট্রদূত এলক্সজান্দ্রা ব্রেক বন লিল্ডি সাক্ষাত করেন। এসময় ইউএনডিপির বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জী, সহকারি আবাসিক প্রতিনিধি প্রসেনজিৎ চাকমা, জেলা পরিষদের সদস্য নিউচিং মারমা, প্রিয় নন্দ চাকমা, ঝর্না খীসা, আছমা বেগম ও জেলা পরিষদের  জনসংযোগ কর্মকর্তা অরুনেন্দু ত্রিপুরা উপস্থিত ছিলেন। 

 

সাক্ষাতকালে দুদেশের রাষ্ট্রদূত বলেন, সরকার উন্নয়নমূলক কাজের মধ্যে জলবায়ু, মানবাধিকার, জেন্ডার বিষয়ে বিভিন্ন দেশে কাজ করছে উল্লেখ করেন মূলত তারা পার্বত্য চট্টগ্রামের পরিস্থিতি সম্পর্কে বুঝতে সফর করছেন। পার্বত্য চুক্তির আলোকে গঠিত পরিষদগুলো এখানে কিভাবে উন্নয়নমূলক কাজ করছে। করোনাকালীন সময়ে এখানকার মানুষ কিভাবে তাদের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করেছে এ সম্পর্কে তারা জানতে এসেছেন।

 

 জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রæ চৌধুরী বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর সমন্বয়ে গঠিত পরিষদ ব্যবস্থা, হস্তান্তরিত বিভাগ, জেলার উন্নয়ন কর্মকান্ড সমন্বয়, এনজিও সমন্বয় এবং পরিষদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন। তিনি  পার্বত্য শান্তি চুক্তির পর ইউএনডিপির মাধ্যমে বিদেশী দাতাদের সহায়তায় পার্বত্য চট্টগ্রামে বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের উল্লেখ করতে গিয়ে বলেন জেলার প্রত্যন্ত এলাকার স্কুল জাতীয়করণ, ম্যালেরিয়া নির্মূলকরণ এবং কৃষিক্ষেত্রে সাফল্য এসেছে। এছাড়া নারীশিক্ষা উন্নয়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় দাতা সংস্থাদের বিভিন্ন উদ্যোগের কথাও তুলে ধরেন তিনি।

 

তিনি  আরো বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বনায়ন, এলাকার মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ এবং স্থানীয় রাজনৈতিক প্রশাসনিক ইউনিট তথা পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদসহ তিন পার্বত্য জেলা পরিষদগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে এলাকার মানুষকে সচেতন এবং রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে সক্ষম করতে পারলে এধরনের সমস্যা মোকাবেলা করা যাবে।

 

চেয়ারম্যান পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন সম্পর্কে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানের অংশ হিসাবে শান্তি চুক্তি হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ, তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ, ভারত প্রত্যাগত এবং অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু সমস্যা সমাধানে টাস্কফোর্স এবং ভূমি সমস্যা সমাধানে ভূমি কমিশন সৃষ্টি হয়েছে। রাজনৈতিক সমাধানের অংশ হিসাবে বর্তমান সরকারের সদিচ্ছা এবং প্রতিশ্রæতির প্রতিফলন হলো এসমস্ত প্রতিষ্ঠানের সৃষ্টি। কিন্তু প্রশাসনিক বা আমলাতান্ত্রিক ধীরগতির কারণে রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্রিয়তায় দীর্ঘসূত্রিতার সৃষ্টি হয়েছে। তিনি মনে করেন, এই সমস্যাগুলোও খুব শীঘ্রই সমাধান হবে। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামের দারিদ্রতা বিমোচন এবং জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় সুইজারল্যান্ড এবং সুইডেন সরকার এগিয়ে আসবে।

--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

 

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত