অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

Published: 08 Sep 2021   Wednesday   

‘আমাদের জীবন আমাদের স্বাস্থ্য আমাদের ভবিষ্যৎ’ প্রকল্পের আওতায় পার্বত্য অঞ্চলের কিশোর- কিশোরীদের বিকাশ ও স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠা এবং তাদের অধিকারের বিষয়ে কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে গঠিত “ Network for Adolescent Rights Initiative (NARI)” এর অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর)  সকালে খাগড়াপুরের জাবারাং কল্যাণ সমিতির রিসোর্স সেন্টারে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

 

অবহিতকরণ কর্মশালায় বক্তারা বলেন, পরিসংখ্যানের তথ্যানুযায়ী বাংলাদেশে প্রায় ৩ কোটি ৬০ লাখ কিশোর-কিশোরী, যা মোট জনসংখ্যার ২২%। কৈশোর বয়সটা এমন- তখন তারা ঠিক শিশুদের কাতারেও পরে না, আবার প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবেও তাদের গণ্য করা হয় না। কৈশোর বয়সে বয়:সন্ধিকাল শুরু হয়। বয়:সন্ধি এমন একটা পর্যায় যখন একটি শিশু একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ হয়ে উঠে। এ সময়ই মানুষের মধ্যে প্রজনন ক্ষমতা তৈরি হয়। কৈশোর সময়কালে ছেলে-মেয়েদের বড় ধরণের শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন আসে, সে কারণে এ বয়সে তাদের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিতে হয়। কৈশোর বয়স জীবনের অতি সংবেদনশীল অধ্যায়। কৈশোর বয়সে প্রয়োজন একটুখানি যত্ন, উন্নত স্বাস্থ্যসেবা, যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কিত যথাযথ জ্ঞান, সেই সাথে মেয়েদের মাসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা। বয়:সন্ধিকালীন সেবা নিশ্চিতের পাশাপাশি তাদের সক্ষমতা বিকাশে সুযোগ তৈরি করা গেলে পরবর্তীতে তারা দারিদ্র্য, বৈষম্য ও সহিংসতার ক্ষেত্র থেকে বেড় হয়ে আসতে পারে।   

 

কিন্তু অধ্যাবদি সামাজিক বাস্তবতা হলো এই, বাংলাদেশে ২২ শতাংশের অধিক কিশোর-কিশোরী থাকলেও তাদের উপযোগী করে সেবার ব্যবস্থা এখনো অপ্রতুল। কৈশোর বয়সে ছেলে-মেয়ে এবং তাদের পরিবারের সদস্যদেরও স্বাস্থ্য সেবা সম্পর্কে সচেতনতার ঘাটটি বিদ্যমান। প্রজনন স্বাস্থ্য, পুষ্টি, মানসিক ও সামাজিক বিষয়ে কাউন্সেলিং সেবা সম্পর্কে তারা অবগত নয়। বাংলাদেশে বয়সন্ধিকালে প্রতি ৩ জন মেয়ের মধ্যে ১ জন রুগ্ন। মেয়েদের ১১ শতাংশই অনেক বেশি রোগা-পাতলা। তাদের অধিকাংশেরই জিংক, আয়োডিন ও আয়রণের মতো পুষ্টির ঘাটটি রয়েছে। সর্বোপরী বয়:সন্ধিকালে কিভাবে নিজের পরিবারে কিশোর কিশোরীদের খেয়াল রাখা এবং সসহযোগিতা করা দরকার সে বিষয়ে অধিকাংশ অভিভাবক সচেতন নয়।
উপরোক্ত অবস্থা থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে কিশোর-কিশোরেিদর কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এ নেটওয়ার্ক গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখবে বলে কর্মশালায় অংশগহনকারী সকলে প্রত্যাশা করেন। পাশাপাশি কিশোর-কিশোরীদের উন্নয়ন সংক্রান্ত বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহনের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সঠিকভাবে বেড়ে উঠার ক্ষেত্রে সহায়তা করে ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।    

 

কর্মশালায় নেটওয়ার্কের সভাপতি ও খাগড়াপুর মহিলা কল্যাণ সমিতির নির্বাহী পরিচালক শেফালিকা ত্রিপুরার  সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের প্রজেক্ট ম্যানেজার সঞ্জয় মজুমদার, লিঁয়াজু অফিসার শরীফ চৌহান, জাবারাং কল্যাণ সমিতির নির্বাহী পরিচালক মথুরা বিকাশ ত্রিপুরা, তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক রিপন চাকমা, জেলা হেডম্যান এ্যসোসিয়েশনের সভাপতি সাথোয়াই মারমা।

 

এছাড়া ও সাধারণ কার্বারী প্রতিনিধি, নারী কার্বারীর প্রতিনিধি, বিভিন্ন সামাজিক ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধি ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। 

 

---হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সি,আর


 


উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত