দেশে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীরা তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত ও বৈষম্যর শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ করে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর সরকারী চাকরির ক্ষেত্রে ৫শতাংশ কোটা পুনর্বহালের দাবি করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক সমাজের নেতৃবৃন্দ।
রোববার রাঙামাটিতে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর বরাবর স্মারকলিপি প্রদানোত্তর সংবাদ সম্মেলন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক সমাজের নেতারা এসব দাবী জানান।
পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটি ও বিপনেট এর যৌথ উদ্যোগে শহরের স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায়, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটির সভাপতি গৌতম দেওয়ান, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মংসানু চৌধুরী, পার্বত্য চট্টগাম বন ও ভুমি রক্ষা আন্দোলন কমিটির সভাপতি সুদত্ত বিকাশ তঞ্চঙ্গ্যা, জাতীয় মানবধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য নিরূপা দেওয়ান। সংবাদ সন্মেলনের আগে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর বরাবর প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কোটা পুনর্বহালের দাবী জানিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেন পার্বত্য নাগরিক কমিটির নেতৃবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের জন্য কোটা ৫শতাংশ থাকলেও তা ২০১৮ সালে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তা বাতিল করা হয়। তবে সে সময় প্রধানমন্ত্র ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা করা হবে ঘোষনা দিয়েছিলেন। তবে কি আলাদা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে সে বিষয়ে অন্ধকারে রয়েছি।
চাকমা রাজা দেবাশীষ রায় পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী জনগণ এখনো অনেক পিছিয়ে রয়েছে উল্লেখ করে বলেন, কোটা বিলুপ্তির ফলে আরো বঞ্চিত হচ্ছে। তাই কোটা বিলুপ্তির আগে এসব জনগোষ্ঠীদের বিষয়ে পুর্ণাঙ্গ তথ্য সংগ্রহ করা জরুরী।
পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটির সভাপতি গৌতম দেওয়ান বলেন, দেশে কোটা বিলুপ্তির পরিবেশ এখনো তৈরি হয়নি। দেশে অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হলে কোটা পদ্ধতি বহাল রাখা অত্যন্ত গুরুত্ব রয়েছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/ এ.ই