রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের নবাগত চেয়ারম্যানের সাথে গুর্খা সম্প্রদায়ের সৌজন্য সাক্ষাত

Published: 04 Jan 2021   Monday   

সোমবার রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদেও নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী’র সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন রাঙামাটিতে বসবাসরত গুর্খা সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা।


জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের অফিস কক্ষে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে প্রথমে গুর্খা সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা নবনিযুক্ত চেয়ারম্যানকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় ও পরে গুর্খাদের ঐতিহ্যবাহী উত্তরীয় ও টুপি চেয়ারম্যানের মাথায় পরিয়ে দিয়ে সম্মান প্রদর্শন করেন।


সাক্ষাতকালে গুর্খা সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি বিশিষ্ট সঙ্গীত শিক্ষক মনোজ বাহাদুর গুর্খা, তার সহধর্মীনি লক্সী মানঝি গুর্খা, দৈনিক গিরিদর্পন সম্পাদক আলহাজ্ব একেএম মকছুদ আহমেদ, সাংবাদিক মিল্টন বাহাদুর গুর্খা, নানিয়ার সরকারী কলেজের প্রভাষক হিমাদ্রি বাহাদুর গুর্খা, সমাজ উন্নয়ন কর্মী বরুন নেওয়ার (বাংলা), শিক্ষক মঙ্গঁল বাহাদুর ছেত্রী, সাংবাদিক শম্পু বাহাদুর থাপা, ছাত্র নেতা অপুশ্রীং লেপচা, মাসৌখে মানজিসহ অন্যান্য নেত্রীবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।


এসময় দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক আলহাজ্ব এ কে এম মকছুদ আহমেদ ও গুর্খা সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি সংগীত শিক্ষক মনোজ বাহাদুর গুর্খা তাদের নিজস্ব লেখা বই চেয়ারম্যানের হাতে উপহার স্বরূপ তুলে দেন।

 

সাক্ষাতকালে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গুর্খা সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, বর্তমান সরকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রতিতে বিশ্বাসী। তাই দেশের অন্যান্য ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীরদের ন্যায় গুর্খা সম্প্রদায়কে নৃ-গোষ্ঠী হিসেবে সরকারী স্বীকৃতি দিয়ে অর্ন্তভুক্ত করেছে। তিনি বলেন, দেশের সকল জনগোষ্ঠীর কল্যাণ ও ভাগ্য উন্নয়নে সরকার কাজ যাচ্ছে। সরকারী নীতি অনুস্মরণ করে সকল সম্প্রদায় যে সকল সুযোগ সুবিধা পাবে সে সকল সুবিধা তাদের প্রদান করা হবে।


এ সময় গুর্খা সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি সঙ্গীত শিক্ষক মনোজ বাহাদুর গুর্খা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের সকল সম্প্রদায়ের মানুষের প্রতি যেমন আন্তরিকতা ও ভালোবাসা ছিলো, তেমনী তাঁর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকল ধর্ম-বর্ণ মানুষের প্রতি আন্তরিকতা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতা ও দূর-দর্শিতার ফলে দেশে বসবাসরত গুর্খা সম্প্রদায়কে নৃ-গোষ্ঠীদের মধ্যে অর্ন্তভুক্ত করেছেন। এ জন্য তিনি সকল গুর্খা সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।


তিনি আরো বলেন, দেশে অন্যান্য সম্প্রদায়ের ন্যায় গুর্খা সম্প্রদায়েরও রয়েছে নিজস্ব ভাষা, শিক্ষা, ঐতিহ্য সংস্কৃতি, অলংকার, পোশাক-পরিচ্ছদ, কৃষ্টি ও কালচার। তাই জেলা, উপজেলা, বিভাগ ও জাতীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত সকল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গুর্খা সম্প্রদায় যেন তাদের সংস্কৃতি তুলে ধরার পাশাপাশি সরকারী সকল সুযোগ সুবিধা পায় সে বিষয়ে সু-দৃষ্টি রাখার জন্য তিনি চেয়ারম্যানকে অনুরোধ জানান।


উল্লেখ, বাংলাদেশ গেজেটের এস, আর, ও নং-৭৮-আইন ২০১৯, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান আইন, ২০১০ (২০১০) সনের ২৩ নং আইন) এর ধারা ১৯ এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার উক্ত আইনের তফসিলের পরিবর্তে নিন্মরুপ নতুন তফসিল প্রতিষ্থাপন করে তফসিল ধারা ২ (১) ও ধারা ১৯ দ্রষ্টব্যের ক্রমিক নং-৩০ এ গুর্খা সম্প্রদায়কে অন্তভুক্ত করা হয়েছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত