খাগড়াছড়ির সংসদ সদস্য ও প্রতিমন্ত্র পদ-মর্যাদায় শরণার্থী টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেছেন, সরকার পাহাড়ের কর্মক্ষম যুব ও যুবাদের বেকারত্ব ঘুচাতে প্রতিটি উপজেলা সদরে কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করছে। এরিমধ্যে জেলার দীঘিনালা ও রামগড়ে দুটি কেন্দ্রের নির্মানকাজ চলমান রয়েছে। খুব শিগগির বাকী ৭ উপজেলাতেও নির্মাণের প্রক্রিয়া চলছে। এর মাধ্যমে আগ্রহী শিক্ষার্থীরা স্বল্প খরচে বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষিত হয়ে দেশে ও বিদেশে যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ করার সুযোগ পাবেন।
সোমবার খাগড়াছড়ি সদরের ভাইবোনছড়া ইউনিয়নের ছোটবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এক জনসমাবেশ ও দরিদ্রদের মাঝে শীতবস্ত্র প্রদানকালে এসব কথা বলেন।
ভাইবোনছড়া ইউপি চেয়ারম্যান পরিমল বিকাশ ত্রিপুরা’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো: শানে আলম, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য খোকনেশ্বর ত্রিপুরা ও সদর উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি সঞ্জীব ত্রিপুরা।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদ-এর সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি সুরেশ মোহন ত্রিপুরা, সা: সম্পাদক অনন্ত কুমার ত্রিপুরা, প্রবীন সমাজসেবক মংশি মারমা, পেরাছড়া ইউপি চেয়ারম্যান তপন বিকাশ ত্রিপুরা, উল্টাছড়ি ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান সুব্রত চাকমা, পানছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের সা: সম্পাদক বিজয় কুমার দেব, ভাইবোনছড়া হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক তাতুমনি চাকমা ও জেলা আওয়ামীলীগ নেতা অপূর্ব ত্রিপুরা।
সভা শেষে তিনি অন্যান্য অতিথিদের সাথে নিয়ে ৮টি গ্রামের পাঁচ শতাধিক দরিদ্র নারী-পুরুষের হাতে উন্নত কম্বল তুলে দেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও এমপি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা আরো বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল মানুষের উন্নয়নে কাজ করছেন। বিশেষ করে দুর্গম ও প্রত্যন্ত পাহাড়ি এলাকার শিশুদের শতভাগ মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত, নারী ও শিশু মৃত্যুর হার কমাতে গ্রামে গ্রামে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করেছেন। সড়ক যোগাযোগ এবং বিদ্যুতায়নকে কাজে লাগিয়ে উন্নত জীবন বিকাশের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি ত্রিপুরা জনগোষ্ঠির মাঝে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ এবং সুশিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য সমাজের সচেতন মহলের ভূমিকা গ্রহণের আহ্বানও জানান।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.