এতিম কন্যাকে শিশু পরিবারে বড় হয়ে আনুষ্ঠানিক বিয়ে দিলে রাঙামাটি জেলা সমাজসেবা । আগের দিন গায়ে হলুদ,মঙ্গলবার বিয়ের অনুষ্ঠান কাবিন ও আকদ পড়ানো হয় রাঙামামাটি ভেদভেদীস্থ শিশু সদনে। এসময় স্ব-পরিবার জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ ও ডিজিএফআই কর্ণেল জিএস কাবিক নামায় বিয়ের স্বাক্ষী হলেন। এসময় জেলা প্রশাসনের এডিসি মো.মামুন,সদর উপজেলা ইউএনও সদর , জেলা প্রশাসনের কর্মরত সকল সহকারী কমিশনার সমাজসেবার চট্টগ্রামের পরিচালক রাঙামাটি সমাজসেবার কর্মকর্তা ও জেলার শীর্ষ কর্মকর্তারা।
জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর পরিচালক মহাম্মদ ওমর ফারুক জানান, ১০ থেকে ১২ বছর বয়সে ছেমন আরা নামে কন্যা কুড়িয়ে পেয়ে পুলিশ কোথায় থানায় জিডি করে আদালতের মাধ্যমে জেলা সমাজসেবাকে লালন পালনের দায়িত্ব দেয়া হয় । সেই সময়ে সমাজ সেবা শিশু পরিবারে রেখে ভরণ পোষনসহ লেখাপড়া দায়িত্ব নেয় । ছেমন আরার বয়স যখন ২২ বছর তখন জেলা সমাজসেবা ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক বিয়ের আয়োজন করে। বিয়ের অনুষ্ঠানে প্রায় তিনশতাধিক অতিথিকে আপ্যায়ন করা হয় । রাঙামাটি শিশু পরিবারে ভর্তি ছিল বিভিন্ন সম্প্রদায় ১৭৫ জন কন্যা শিশু তার মধ্যে শিশু সদনে উপস্থিত ছিল ১৪৫ জন। বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সহযোগিতায় এই বিয়ের আয়োজন করে জেলা সমাজ সেবার অধিদপ্তরে নিয়ন্ত্রধীন রাঙামাটি শিশু পরিবার ।
জেলা প্রশাসক একে এম মামুনুর রশিদ বলেন,এসব অভি-ভাবকহীন এতিম কন্যাকে পাত্রস্থ করতে পেরে আমরা গর্বিত। এই কারণে বিয়ে উপস্থিত হয়ে কাবিন নামায় সাক্ষী হয়েছি ।
ডিজিএফআই কর্ণেল জিএস বলেন,এই বিয়েতে নিজের সম্পৃক্ত হতে পেরে আমরা গর্বিত । এ ধরনের সামাজিক কাজে রাষ্ট্রীয়ভাবে সমর্থন করে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.