চিম্বুক ও নাইতং পাহাড়ে ম্রোদের ভূমিতে পাচঁ তারকা হোটেল ও বিনোদন পার্ক নির্মাণ সম্পূর্ন অমানবিক

Published: 12 Dec 2020   Saturday   

বান্দরবানের চিম্বুক ও নাইতং পাহাড়ে ম্রোদের ভূমিতে পাচঁ তারকা হোটেল ও বিনোদন পার্ক নির্মাণ সম্পূর্ন অমানবিক অবৈধ উল্লেখ করে তা অবিলম্বে ভূমি দখল বাতিল ও নির্মাণ কাজ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন দেশের বিশিষ্টজনরা। 

 

শনিবার বান্দরবানের চিম্বুক ও নাইতং পাহাড়ে ম্রোদের  ভূমিতে পাচঁ তারকা হোটেল ও বিনোদন পার্ক নির্মাণে প্রতিবাদে আয়োজিত ভার্চুয়াল ভিডিও সংবাদ সন্মেলনে বিশিষ্টজনরা এ দাবী জানিয়েছেন।

 

পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটি, বেলা, বিপনেট ও এএলআরডির যৌথ উদ্যাগে ভার্চুয়াল ভিডিও সংবাদ সন্মেলনে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটির সভাপতি গৌতম দেওয়ান। এতে সংহতি বক্তব্যে রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, সুপ্রীম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবি শাহদীন মালিক, চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায়, জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ, বিশিষ্ট আইনজীবি সারা হোসেন, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, অধ্যাপক মংসানু চৌধুরী, নিজেরা করি নির্বাহী পরিচালক খুশি কবির, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও অর্থনীতিবিদ এমএম আকাশ, লিনা গোস্মামী, ইত্তেফাকের সম্পাদক তাসমিনা হোসেন, বেলার প্রধান নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান,নারী পক্ষের শিরীন হক প্রমুখ।  ম্রোদের পক্ষের বক্তব্যে দেন লংএয়েন ম্রো। সংবাদ সন্মেলনে সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারন সম্পাদক সঞ্জীব দ্রুং।


সংবাদ সন্মেলনে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটির সভাপতি গৌতম দেওয়ান মূল প্রবন্ধে বলেন, বান্দরবান জেলা শহর থেকে প্রায় ৪৭ কি.মি. দক্ষিণ-পূর্বে চিম্বুক-থানচি সড়ক সংলগ্ন চিম্বুক পাহাড়ের কোলে ৩০২ নং লুলাইং মৌজার নাইতং পাহাড়ে (তথাকথিত চন্দ্র পাহাড়) ও ৩৫৫ নং সেপ্রু মৌজার কাপ্রুপাড়া, ডলাপাড়া ও এরাপাড়া ঘেঁষে আদিবাসী ম্রো অধ্যুষিত অঞ্চলে বিতর্কিত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান সিকদার গ্রুপের অঙ্গ সংগঠন আর এন্ড আর হোল্ডিং লিমিটেড এবং ২৪ পদাতিক ডিভিশন ও ৬৯তম ব্রিগেড, বান্দরবান এর যৌথ উদ্যোগে “ম্যারিয়ট হোটেলস্ এন্ড রিসোর্টস্” নামে একটি পাঁচতারা হোটেল ও বিনোদন পার্ক নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে চিম্বুক ও নাইতং পাহাড়ে, যেখানে  ম্রোরা শতাব্দীকাল ধরে জুম চাষ করে আসছে, যেখানে তাদের বসতভিটা, শ্মশান, পবিত্র পাথর, পবিত্র বৃক্ষ, পানির উৎস ইত্যাদি রয়েছে সেখানে প্রায় ‘এক হাজার একর’ জমি থেকে তাদের ৬টি গ্রাম সরাসরি উচ্ছেদের মুখে পড়বে এবং ১১৬টি পাড়ার আনুমানিক ১০ হাজার ম্রো বাসিন্দার ঐতিহ্যবাহী জীবিকা বিভিন্নভাবে স্থায়ী ক্ষতির সম্মুখীন হবে। শুধু তাই নয়, সেই সাথে সমগ্র এলাকার জীব-বৈচিত্র, ছড়া-ঝর্ণা ও স্রোতস্বীনির নিশ্চিত ধ্বংস ও এলাকার প্রতিবেশের অন্যান্যভাবে অপূরনীয় ক্ষতি হবে। স্পষ্টতই এটা রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে নয়, বরঞ্চ ম্রোদের  ঐতিহ্যবাহী জীবনাচার, তাদের ব্যক্তিগত ও সামাজিক অন্তরাল, মূল্যবোধ এবং তাঁদের পরিবেশ ও প্রতিবেশকে কলুষিত করার বিনিময়ে শুধুমাত্র বিনিয়োগকারীদের মুনাফা, বিত্তশালী পর্যটকের আয়েশী বিনোদন ও ভোগ বিলাসের জন্য এই বেদখলের নীল নক্সা আঁকা হয়েছে। ম্রোরা তাদের অতীত অভিজ্ঞতা থেকে আরো জানে যে, এর ফলে তারা দলে দলে তাদের পিতৃ পুরুষের ভিটেমাটি হারিয়ে তাদের নিজ ভূমিতেই পরবাসী হয়ে যাবে কিংবা স্থায়ীভাবে দেশান্তরী হতে বাধ্য হবে।


তিনি আরো বলেন, উচ্ছেদ-বিড়ম্বিত ম্রোদের  ভূমি থেকে উচ্ছেদের করুণ ইতিহাস রয়েছে। স্বাধীনতা উত্তর কালে প্রথমবার, ১৯৯১-৯২ সনে বাংলাদেশ সেনা ও বিমান বাহিনীর গোলন্দাজ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (ফায়ারিং রেঞ্জ) স্থাপনের জন্য ভূমি অধিগ্রহণের কারণে সুয়ালক ও টংকাবতী ইউনিয়নের তিনটি মৌজা (৩১৪ নং সুয়ালক, ৩১৫ নং রেক্ষ্যিং ও ৩০৮ নং উত্তর হাঙ্গর) থেকে ৩৮১ ম্রো পরিবার উচ্ছেদ হয়। দ্বিতীয় দফায়, ২০০৬-২০০৭ সনে ঐ অধিগ্রহণকৃত এলাকা থেকে আবারো উচ্ছেদ হয় আরও তিন শতাধিক ম্রো পরিবার। এর কয়েক বছর পর নীলগিরি হিল রিজোর্ট স্থাপনকালে উচ্ছেদ হয় ২০০টি ম্রো  ও মারমা পরিবার। এইসব ভূমিচ্যুত মানুষেরা চিম্বুক পাহাড়ের রামাড়ী পাড়া, দেওয়াই হেডম্যান পাড়া, ম্রাদি পাড়া, রেনিক্ষ্যং প্রভৃতি পাড়ায় এসে আশ্রয় নিয়েছিল। কিন্তু উচ্ছেদের ভূত তাদের পিছু ছাড়েনি। ২০২০ সনের শেষের দিকে এসে তাদের আবাসভূমিতে আন্তজার্তিক ম্যারিয়ট চেইন এর অন্যতম পাঁচতারা হোটেল ও বিনোদন পার্ক নির্মিত হলে তারা আবারো তাদের ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদের মুখে পড়বে।


তিনি আরো বলেন, গেল ৭ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয় ও ৮ নভেম্বর সকালে চিম্বুক পাহাড়ের ২৫টি পাড়ার প্রায় এক হাজার ম্রো বাসিন্দা একটি সাংস্কৃতিক প্রদর্শনী আয়োজনের মাধ্যমে তাদের ঐতিহ্যবাহী প্লুং বাজিয়ে তাদের শত বছরের প্রাচীন আবাসভূমিতে হোটেল ও বিনোদন পার্ক নির্মাণের কাজ বন্ধ করার দাবি তোলে, প্রচারপত্র বিলি করে। তাদের দাবির সমর্থনে বিভিন্ন আদিবাসী ছাত্র ও নাগরিক সমাজের অংশগ্রহণে ২৭ নভেম্বর বান্দরবানে, ৩০ নভেম্বর রাঙ্গামাটিতে ও খাগড়াছড়িতে মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে আর এ- আর হোল্ডিং লিমিটেড এর পক্ষে সিকদার গ্রুপের মুখপাত্র বিভিন্ন গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে হোটেল ও বিনোদন পার্কটি নির্মাণে জমির বৈধ মালিকানা রয়েছে মর্মে দাবি করেন। কিন্তু জেলা পরিষদ জানিয়েছে, আর এন্ড আর হোল্ডিং এর কাছে কোন ভূমি হস্তান্তর করা হয়নি, তবে সরকারি নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে ২০ একর জমির ইজারা প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট ভূমির ৪ (২০ একর) মালিকানা স্বত্ব আদৌ বান্দরবান জেলা পরিষদের নেই, কারণ জেলা পরিষদ জানায় যে, তারা সংশ্লিষ্ট ভূমির বন্দোবস্তির জন্য আবেদন করলে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় তা নাকচ করে দেয়। অতএব, জেলা পরিষদ নিজেই যদি সংশ্লিষ্ট জমির মালিকানা বা ইজারা স্বত্বের অধিকারী না হয়, তাহলে পরিষদ অনুরূপ কোন স্বত্ব হস্তান্তর করতে পারে না। উল্লেখ্য যে, বৈধভাবে অর্জিত ভূমির মালিকানা বা ইজারা স্বত্ব হস্তান্তরের বেলায়, বিশেষ করে হস্তান্তর-গ্রহীতা অবাসিন্দা ও অপাহাড়ী হলে, সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দার সম্মতি, মৌজা হেডম্যানের সুপারিশ, ডেপুটি কমিশনারের অনুমতি ও পার্বত্য জেলা পরিষদের পূর্বানুমোদনের বিধান রয়েছে। আর গোড়াতেই যদি পরিষদের নামে বন্দোবস্তি বা ইজারার স্বত্ব অর্জিত না হয়ে থাকে, তাহলে পরিষদ কর্তৃক সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে কোন রকম ভূমিস্বত্ব হস্তান্তর করার প্রশ্নই অবান্তর। অন্যভাবে বলা হলে, নিরাপত্তা বাহিনী বা আর এন্ড আর হোল্ডিং উভয়ের হোটেল, রিজোর্ট, বিনোদন পার্ক বা অনুরূপ কোন কেন্দ্র স্থাপন করার বৈধ স্বত্ব নেই। অথচ ম্রোরা যখন তাদের আবাস ও আবাদভূমি জবরদস্তি বেদখলের বিরুদ্ধে ন্যায্য অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ মুখর হলেন তখনই প্রতিবাদকারী ম্রো জনগোষ্ঠীর সদস্যদের বিরুদ্ধে নানা রকম ভয়-ভীতি প্রদর্শনের প্রচুর অভিযোগ উঠেছে।


সংবাদ সম্মেলনের থেকে তিন দফা দাবী জানানো হয়। সেগুলো হল ম্রো জনগোষ্ঠীর জীবন-জীবিকা, প্রাকৃতিক সম্পদে প্রথাগত অভিগম্যতা, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও নিরাপত্তার দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে ম্রো অধ্যুষিত এলাকায় ম্যারিয়ট হোটেল ও বিনোদন পার্ক নামক প্রকল্পটি অবিলম্বে বাতিল এবং এ প্রকল্প থেকে সকল প্রকার সম্পৃক্ততা প্রত্যাহার, আন্দোলরত জনগোষ্ঠীকে ভয়-ভীতি প্রদর্শন ও নানা ধরনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে মর্মে যে অভিযোগ উঠেছে তা অবিলম্বে খতিয়ে দেখে বন্ধ করার উদ্দেশ্যে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন, জনস্বার্থ ও জাতীয় স্বার্থ উপেক্ষা করে কেবলমাত্র বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে বান্দরবানের মতো সংবেদনশীল পরিবেশ ও প্রতিবেশের প্রতি হুমকি সৃষ্টিকারী পর্যটনসহ উন্নয়নের নামে অবাধ ও পূর্বাবহিত সম্মতি ব্যতিরেকে অন্যান্য সকল প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক কর্মকা- অবিলম্বে বন্ধ করে দখলকৃত সকল ভূমি দখলমুক্ত করা, সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ের অব্যাহত ভূমি আগ্রাসন থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসী জাতিসমূহকে সুরক্ষা দিতে অবিলম্বে প্রস্তাবিত বিধি প্রণয়নসহ ভূমি কমিশনকে সক্রিয় করে তোলা।


সংবাদ সন্মেলনে সংহতি বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বান্দরবানের চিম্বুক ও নাইতং পাহাড়ে ম্রোদের ভূমিতে পাচঁ তারকা হোটেল ও বিনোদন পার্ব নির্মাণ সম্পূর্ন অমানবিক অবৈধ উল্লেখ করে তা অবিলম্বে ভূমি দখল বাতিল ও নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে হবে। তিনি আরো বলেন, এই ভূমি দখল সম্পূর্ন বেআইনী। এখানে ক্ষমতা বিলাস জড়িত রয়েছে। মনুষ্য বিরোধী প্রকৃতি বিরোধী জড়িত রয়েছে।


সুপ্রীম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবি শাহদীন মালিক সংবাদ সন্মেলনে সমর্থন জানিয়ে বলেন, ম্রো জনগোষ্ঠীদের ভূমি দখল করে পাচ তারকা হোটেল ও বিনোদন পার্ক নির্মাণ সম্পূর্ন সংবিধান পরিপন্থী, পার্বত্য চুক্তি বিরোধী।


খুশি কবির বলেন, সংবিধানে প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার রয়েছে। ম্রো জনগোষ্ঠীকে উচ্ছেদ করে তাড়িয়ে দেওয়া না হয়। উন্নয়ন নামে মুনাফা লাভের জন্য এ কাজ করা হচ্ছে। এই অমানবিক কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য রাষ্ট্রষন্ত্রের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।


আনু মোহাম্মদ বলেন, পাঁচ তারকা হোটেল ও বিনোদন পার্ক নির্মাণ করা হলে ভয়াবহ বিরুপ প্রভাব পড়বে। প্রত্যেক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে ম্রো জনগোষ্ঠীরা।


শাহদীন মালিক ম্রোদের আন্দোলনের সাথে একাত্নতা প্রকাশ করে বলেন, একটি বিতর্কিত প্রতিষ্ঠানের সাথে একটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের সম্পৃক্ত থাকাটা হতাশাজনক।


শামসুল হুদা বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে, পার্বত্য চুক্তিতে, ১৯০০সালের আইনে ও আর্ন্তজাতিক বিধিবিধান মানবধিকার লংঘন করা হচ্ছে। এটি শুধু ম্রোদের উপর আক্রমণ নয় সারাদেশের উপর আক্রমণ।


ইফতেকুর জামান বলেন, যে প্রকল্প গ্রহন করা হয়েছে তা বাতিল করা উচিত। তা না হলে বুমেরাং আর আত্নঘাটি হবে তা নিয়ন্ত্রন করতে পারবে না।


চাকমা রাজা দেবাশীষ রায় বলেন, যে ভূমি হরণ করা হচ্ছে তা জুম্ম জনগোষ্ঠীদের সংখ্যালঘু করার জন্য একটা অংশ। পার্বত্য চট্টগ্রামের বন্দোবস্তি পাওয়ার ব্যাপারে এখানকার প্রচলিত প্রথা রীতিনীতি পদ্ধতি, পার্বত্য চুক্তিতে ও ১৯০০ সালের রেগুলেশন আইন রয়েছে। এখানে ম্রোদের সম্পূর্ন বেআইনীভাবে ভূমিহরণ করা হয়েছে। ভূমি হরনের কারণে ম্রোদের জনসংখ্যা কমে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে ম্রোদের পাশ্ববর্তী দেশে চলে যেতে বাধ্য হবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত