পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত আদিবাসী সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী সামাজিক উৎসব বৈসাবি(বৈসু-সাংগ্রাই-বিঝু) এর উপলক্ষে খাগড়াছড়িতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহন করা হয়েছে। ইতোমধ্য এ অনুষ্ঠানকে সফল করতে খাগড়াছড়িতে কিরণ মারমাকে আহ্বায়ক ও মিলন দেওয়ান(মনাঙ)-কে সদস্য সচিব করে ১১ সদস্য বিশিষ্ট একটি সর্বজনীন বৈসাবি উদ্যাপন কমিটি গঠন করা হয়েছে।
খাগড়াছড়িতে বৈসাবি উপলক্ষে অায়োজিত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে জেলা সদরের হবংপজ্জ্যা বালুঘাট স্থাানে ১২ এপ্রিল সকালে চেঙ্গী নদীতে ফুল ভাসানো, বৈসাবি র্যালি এবং এক সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পানি খেলা ও গড়িয়া নৃত্য অনুষ্ঠিত হবে। ১৪ এপ্রিল হবংপজ্জ্যা বালুঘাট স্থানে সন্ধ্যা ৬-৭টায় নতুন বছরের সুখ-শান্তি কামনায় প্রদীপ প্রজ্জলন এবং বয়স্কদের স্নান ও পারস্পরিক শুভেচ্ছা বিনিময় করা হবে।
উল্লেখ্য, পার্বত্য চট্টগ্রামের (রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান) এগার ভাষাভাষি চৌদ্দটি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আদিবাসী জাতিসত্তার বসবাস। এসব সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী প্রধান সামাজিক উৎসব হচ্ছে বিজু-সাংগ্রাই-বৈসুক-বিষু-বিহু। পার্বত্য চট্টগ্রামের বসবাসরত আদিবাসীদের এ উৎসবটি উচ্চারনগতভাবে বিভিন্ন নামের পালন করলেও এর নিবেদন-ধরন কিন্তু একই। তাই এ উৎসবটি আদিবাসীদের শুধু আনন্দের নয়, সমগ্র পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসী সম্প্রদায়ের সামাজিক, রাজনৈতিক অর্থনৈতিক, ঐক্য ও মৈত্রী বন্ধনের প্রতীকও বটে। পার্বত্য চট্টগ্রামে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে অন্যতম চাকমারা এ উৎসবকে বিজু, মারমারা সাংগ্রাই ও ত্রিপুরারা বৈইসুক নামে অভিহিত করে থাকেন। সাধারনত বাংলা বর্ষের শেষ দুদিন ও নতুন বছরের প্রথম দিন এ উৎসব পালিত হয়ে থাকে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদানা/সিআর.