সোমবার রাঙামাটিতে “জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজনে পার্বত্য জেলার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সার্বিক উন্নয়ন”বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় সভায়। প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক জনাব এ কে এমমামুনুর রশিদ। বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা আশিকা ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েটস-এর নির্বাহী পরিচালক বিপ্লব চাকমার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ মামুন। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোঃ ওমর ফারুক, রাংগামাটি প্রেস ক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন রুবেল, সাবেক্ষ্যং ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান উত্তম প্রিয় চাকমা,পার্বত্য নারী হেডম্যান কার্বারী নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক জনাব সান্তনা চাকমা, প্রকল্প সুফলভোগী পলাশ চাকমা।
সভায় অন্যন্যের মধ্যে সরকারী বিভিন্ন দপ্তরের জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা, রাঙামাটি সদর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার, নানিয়ারচর উপজেলার সরকারী বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের সদস্য, নানিয়ার উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান, সুশীল সমাজের সদস্য, প্রকল্প সুফলভোগী, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রকল্প কর্মকর্তা রবীন চাকমার সঞ্চালনায় প্রকল্প সমন্বয়কারী বিমল কান্তি চাকমার প্রকল্প বিষয়ক পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মধ্য দিয়ে সভার কার্যক্রম শুরু করা হয়।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জনাব মোঃ মামুন বলেন, “আমরা এখন একট ামহামারীর মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। এই অবস্থা আরো গুরুতর হতে পারে। গুরুতর অবস্থা যাতে না হয় তজ্জন্য আমরা অনেক সাবধানতা এবং সচেতনতা অবলম্বন করছি। ঠিক এই সময়ে জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত জেলা পর্যায়ের এই মতামত সভা অত্যান্ত যুগোপযোগী। আমরা করোনার জন্য যেমন সচেতনতা অবলম্বন করছি তেমনি জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়েও আমাদের সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে। আশিকাকে ধন্যবাদ এই রুপ একটি যুগোপযোগী অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য। তবে এই প্রকল্পটি শুধু নানিয়ারচর উপজেলায় চলমান আছে। পরবর্তীতে এই প্রকল্পটি গোটা রাঙামাটি পার্বত্য জেলায় সম্প্রসারণ করা গেলে এতদঞ্চলের লোকজন জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে আরো বেশি সচেতন হবে। আমি আশিকাকে অনুরোধ জানাবো যাতে পরবর্তীতে এই প্রকল্পটি গোটা রাঙামাটি জেলায় প্রসারিত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.