খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী তারাবনছড়া বন ভাবনা কেন্দ্র ও বিহারে শুক্রবার হাজার হাজার দায়ক-দায়িকার উপস্থিতিতে সপ্তম কঠিন চীবর দান উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৯৯৭ সালে যাত্রা শুরু করা নিসর্গমন্ডিত পাহাড়ি এলাকার এই বৌদ্ধ তীর্থস্থানের সার্বিক উন্নয়নে প্রয়োজনী পদক্ষেপ গ্রহণের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য ও জেলা উন্নয়ন কমিটির আহ্বায়ক মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু।
ডবহার অধ্যক্ষ আদি কল্যাণ মহাস্থবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী আলোচনায় তরুণ রাজনীতিক ও জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সা: সম্পাদক মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু সরকারের উন্নয়ন প্রচেষ্টার উল্লেখ করে বলেন, বিগত একযুগে তিন পার্বত্য জেলার শিক্ষা-চিকিৎসা-বিদ্যুৎ-সড়ক ও অন্যান্য অবকাঠামো এবং নারী ও শিশু উন্নয়নে ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে। যেখানে বিদ্যুৎ দেয়া এখনো সম্ভব হয়নি, সেখানে উন্নত প্রযুক্তি টেকসই সোলার প্রদান করা হচ্ছে।
সামাজিক নিরাপত্তামূলক সহায়তা কর্মসূচির মাধ্যমে হাজার হাজার দরিদ্র পাহাড়ি-বাঙালির জীবনমান উন্নয়নে নীরব বিপ্লব সাধিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদ সদস্য ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সা: সম্পাদক জুয়েল চাকমা বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রীর নীতিগত অবস্থান হলো ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’। এই নীতির কারণে পাহাড়ের সকল সম্প্রদায়ের মানুষ সমানভাবে উপকৃত হচ্ছেন। সরকারের অগ্রগতিকে এগিয়ে নিতে হলে সরকারের ভালো কাজকে ইতিবাচকভাবে দেখতে হবে।
অনুষ্ঠানে সংঘদান, অষ্ট পরিস্কার দান, হাজার প্রদীপদানসহ অন্যান্য ধর্মীয় কার্যাদির আগে ধর্মীয় দেশনা প্রদান করেন, প্রয়াত ধর্মগুরু বনভান্তের তৃতীয় শিষ্য ভদ্রজিৎ ভান্তে এবং পুজগাং বন বিহারের অধ্যক্ষ অনোমদর্শী ভান্তে।
পরে রাজনীতিক মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু এবং জুয়েল চাকমা বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরুদের চীবর প্রদান করেন। এসময় পানছড়ি উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস-চেয়ারম্যান মোনিতা ত্রিপুরা, বিহার কমিটির সভাপতি উষা কান্তি চাকমা এবং পানছড়ি উপজেলা আওয়ামলীগের সা: সম্পাদক বিজয় কান্তি দেব উপস্থিত ছিলেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.