বৃহস্পতিবার খাগড়াছড়ি ভাইবোনছড়া ইউনিয়নের সৈয়ন্দর পাড়া ত্রিরত্ন বৌদ্ধ বিহারে ১৪ তম দানোত্তম কঠিন চীবর দানোৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ত্রিরত্ন বৌদ্ধ বিহার প্রাঙ্গনে ধর্মীয় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য জুয়েল চাকমা। বিশেষ অথিথি ছিলেন ভাইবোনছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পরিমল ত্রিপুরা।
শুভ দানোত্তম কঠিন চীবর দানে প্রধান ধর্মীয় অনুষ্টানে ধর্মীয় আলোচকছিলেন বৌদ্ধ শিশু ঘর বৌদ্ধ বিহারের বিহারধ্যক্ষ সুমনা মহাস্থবির ভান্তে। এছাড়া ধর্মীয় দেশনা দেন সুদৃষ্টি অরণ্য কুঠিরের বিহারধ্যক্ষ নারদ স্থবির ভান্তে, আভাসা স্থবির ভান্তে ও সৈয়ন্দর পাড়া ত্রিরত্ন বৌদ্ধ বিহারের বিহারধ্যক্ষ সুনন্দ স্থবির ভান্তে। দানোত্তম কঠিন চীবর দানানুষ্ঠনে বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারের বিহারধ্যক্ষ ও এলাকার বৌদ্ধ ধর্মালম্বী বৌদ্ধ নর-নারীরা অংশ গ্রহন করেন। অনুষ্ঠানে দেশ জাতি ও বিশ্বের যে মহামারী করোনা থেকে যেন সবাই মুক্ত হতে পারি সেই প্রার্থা করা হয়।
দিনব্যাপী অনুষ্ঠান মালার সকালে পঞ্চশীল গ্রহনের মধ্যদিয়ে চীবর দান, বুদ্ধমুর্তি দান, সংঘ দান, অষ্ট পরিস্কার দান, কল্পতরু দান ও বৌদ্ধ ভিক্ষুদের পিন্ডু দানসহ নানাবিধ দান করা হয়।
অনুষ্টান শেষে সন্ধ্যায় হাজার প্রদীপ প্রজ্জলন ও আকাশ প্রদীপ (ফানুস বাতি) উত্তোলন করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য জুয়েল চাকমা বলেন, বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্যবাসীর জন্য খুব আন্তরিক। তিনি খাগড়াছড়ির জননেতা কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি`র মাধ্যমে খাগড়াছড়িতে উন্নয়নের কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একটি উদ্ধৃতি দেন ধর্ম যার যার উৎসব সবার। তাই আমরা সকলে যার যার ধর্মীয় অনুষ্ঠান উদযাপন করতে পারতেছি। এ সময় তিনি বিহারের ভিক্ষু নিবাস ও বিহারের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে দেওয়ার কথা বলেন।
কঠিন চীবর দানানুষ্টানে তিনি মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ও খাগড়াছড়ি জেলার জননেতা এমপি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরাসহ সকলের জন্য আর্শীবাদ প্রার্থনা করেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.