নানিয়ারচরে সেনাবাহিনীর সাথে সন্ত্রাসীদের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে নিহতের লাশ ময়নাতদন্ত সম্পন্ন

Published: 14 Oct 2020   Wednesday   

রাঙামাটির নানিয়ারচরে সেনাবাহিনীর সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত দুজনের লাশ  গতকাল  বুধবার রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতাল মর্গে মযনাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। তবে নিহতের একজনের লাশ স্বজনরা গ্রহন করলেও অপরজনের লাশ স্বজনরা গ্রহন করতে যায়নি।

 

এদিকে নানিয়ারচরে নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক ইউপিডিএফের এক সদস্যসহ দুই জনকে বিচার বহির্ভুতভাবে গুলি করে হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ইউনাইটেড পিপলস্ ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)।

 

উল্লেখ্য,গেল মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে একজন মেজরের নেতৃত্বে স্পিডযোগে সেনাবাহিনীর একটি টিম বুড়িঘাট ইউনিয়নের  রউফ টিলা এলাকায় অভিযানে যায়। এসময় ইউপিডিএফের সদস্যরা সেনাবাহিনী উপর অতর্কিতে হামলা চালায়। এতে সেনাবাহিনীও পাল্টা গুলি করলে উভয়ের মধ্যে বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এসময় ইউপিডিএফের সদস্য আশাপূর্ন চাকমা ওরফে রকেট(২৮) ও ইন্দ্র জয় চাকমা ওরফে সম্ভূ (৩৫) নিহত হন। এসময় এক সেনা সদস্য গুলি বিদ্ধ হয়। ঘটনাস্থল থেকে একে ২২ এসএমজি উদ্ধার করা হয়। সেনা সদস্যকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে মঙ্গলবার রাতেই হেলিকপ্টারের সহায়তায় চট্টগ্রাম সিএমএইচ  ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমান তিনি আশংকামুক্ত রয়েছেন। 

 

পুলিশ জানায়, বুধবার রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতাল মর্গে নিহত দুজনের লাশ ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ময়নাতদন্তে শেষে নিহতদের মধ্যে ইন্দ্র জয় চাকমা শম্ভূর লাশ স্বজনরা গ্রহন করেছে। তবে অপর নিহত আশাপূর্ন চাকমা ওরফে রকেট চাকমার লাশ স্বজনরা গ্রহন করতে এখনো যায়নি। এ ঘটনার পর নানিয়ারচর উপজেলায় চরম আতংক বিরাজ করছে। হত্যাকান্ড সংঘটিত এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতা বৃদ্ধিসহ পুরো নানিয়ারচর উপজেলার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। 

 

নানিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাব্বির আহম্মেদ জানান, নিহত দুই জনের লাশের মধ্যে  একজনের লাশ তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং অপর জনের লাশ স্বজনরা গ্রহন করতে যায়নি। এ ঘটনার ব্যাপারে পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।

 

এদিকে ইউপিডিএফের প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের প্রধান নিরন চাকমার স্বাক্ষরিত এক প্রেস বার্তায় দাবী করা হয়, মঙ্গলবার বিকেলের দিকে ইউপিডিএফের দুই সদস্য ইঞ্জিনচালিত নৌকায় করে পুটিখালি নিয়ে যাওয়ার জন্য সম্ভু চাকমাকে অনুরোধ করেন। ইউপিডিএফ সদস্য আশাপূর্ণ চাকমা নৌকায় উঠলেও অপর সদস্য প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দেয়ার জন্য দেরী করে ফেলেন। এ সময় সেনাবাহিনী ও তাদের মদদপুষ্ট রাজাকাররা দুই/তিন দিক থেকে তাদের উপর অতর্কিতে গুলিবর্ষণ শুরু করে। এতে উক্ত দুইজন ঘটনাস্থলেই নিহত হন।’

 

 প্রেস বার্তায় আরো  দাবী করা হয়, এই ঘটনাকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য বন্দুকযুদ্ধ ও অস্ত্র উদ্ধারের নাটক সাজানো হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত বন্ধের লক্ষ্যে ইউপিডিএফ যে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে তা বানচাল করতেই আবারো বিচার বহির্ভুত হত্যাকান্ডের আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। 

 

প্রেস বার্তায় তথাকথি গোলাগুলি বা বন্দুক যুদ্ধের নামে বিচার বর্হিভূত হত্যা বন্ধ ও পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তিপর্ণ গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টির দাবী জানানো হয়েছে।

--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত