প্রতিদিন ডিম খাই” রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াই এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে রাঙামাটিতে বিশ্ব ডিম দিবস পালিত হয়েছে ।
ডিম দিবস উপলক্ষে শুক্রবার সকালে রাঙামাটি জেলা প্রাণীসম্পদ দপ্তরের আয়োজনে প্রাণীসম্পদ কার্যালয় থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রাণীসম্পদ দপ্তরের প্রশিক্ষনভবনে গিয়ে শেষ হয়ে এক আলোচনাসভায় মিলিত হয়।র্যালি ও আলোচনাসভায় খামারি এবং প্রাণিসম্পদ বিভাগের সংশি¬ষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভায় বক্তারা প্রাণীজ আমিষের চাহিদা পূরণ, স্বাস্থ্যবান ও মেধাবী জাতি গঠনসহ সর্বোপরি ডিমের গুণাগুন সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানোর উপর গুরুত্বারোপ করেন।
জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা: বরুণ কুমার দত্তের এর সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রাণীসম্পদ বিভাগের ডা: কুসুম চাকমা, দেবরাজ চাকমা,ডা প্রীমা মহাজন, ডা. ফ্লোরা চাকমা বক্তব্য রাখেন।
এছাড়া রাঙ্গামাটি ডেইরী এসাসিয়েশনের খামারী শংকর মুৎসুদ্দি, মোঃ আবু তাহের বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সুলাল খীসা।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা: বরুণ কুমার দত্ত বলেন, ডিম খাওয়ার ফলে দুশ্চিন্তা ও চাপ কমানোর পাশাপাশি চামড়া মসৃন করে এবং চোখ সুরক্ষা, সুন্দর দাঁত ও হাড় গঠনে সাহায্য করে।
সমাজ থেকে ডিম খাওয়া নিয়ে যেসব কুসংস্কার রয়েছে তা দূর করে সুস্থ্য থাকার জন্য প্রতিদিনের খাদ্য হিসেবে ডিমের ভূমিকা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে হবে।
তিনি বলেন এখনও বিভিন্ন সমাজের অনেকেই মনে করে পরীক্ষার সময় ডিম খাওয়া যাবেনা। এটি একটি নিছক ভুল ধারনা। তিনি বলেন, ডিমে সুলভ মূল্যে উচ্চ মাত্রার প্রোটিন পাওয়া যায়।
তিনি আরো বলেন, পরিবারের প্রোটিনের চাহিদা পূরণে ডিমের বিকল্প নেই। এক কথায় আমাদের সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিন ডিম খাওয়া প্রয়োজন।
তিনি সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন এলাকা ও বিশেষ করে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ডিমের পুষ্টি ও গুণাগুন সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে উপস্থিত সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.