বান্দরবানের বাঘমারায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে একজন নিহত হয়েছে। তার নাম মংসিং উ মারমা। সে সদ্য যুবলীগে যোগ দিয়েছিল। মঙ্গলবার (১সেপ্টেম্বর) রাতে রাজবিলা ইউনিিয়নের বাঘমারার চিং ক্যউ ওয়াজা পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সদর উপজেলার রাজবিলা ইউনিবয়নের বাঘমারার চিং ক্যউ ওয়াজা পাড়ায় রাতে একদল পাহাড়ী সশস্ত্র সন্ত্রাসী সদ্য যুবলীগে যোগ দেয়া মংনুচিংকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতেচ সে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। এ বিষয়ে বান্দরবান সদর থানার ডিউটি্ অফিাসার এ এস আই ইসমাইল বলেন, গুলিতে একজন মারা যাবার খবর পেয়ে বান্দরবান সদর থানার ওসি সহ ঘটনাস্থলে একদল পুলিশ গেছে। এ বিষয়ে এখন বিস্তারিত বলা সম্ভব হচ্ছেনা। প্রসঙ্গত: সম্প্রতি ৭জুলাই মঙ্গলবার সকালে বান্দরবানের বাঘমারায় গুলিতে আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) সংস্কার এমএন লারমা গ্রুপের জেলা সভাপতিসহ ৬ জন নিহত হয়েছে। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয় আরো তিনজন। এছাড়া চলতি সনের সোমবার (৬জুলাই) গুংগা জলি ত্রিপুরা ( ৪১) নামে এক যুবককে কুহালংস এর ১নং এলাকা থেকে অপহরণের অভিনযোগ উঠে়। এছাড়া গত বৃহষ্পতিবার (২জুলাই) রুয়াল লুল থাং বম (৩০) কে সদর ইউনিয়নের হেব্রন পাড়া থেকে অপহরণ করা হয়। এখানো তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এছাড়া ২০১৯সালের (২২জুলাই) দুপুর দেড়টার সময় বান্দরবান সদরের শামুকঝিড়ি এলাকায় ৫টি গুলি করে রোয়াংছড়ি তারাছা ইউনিপয়ণ আওয়ামীলীগের সভাপতি মংমং থোয়াই মারমাকে গুলি করে হত্যা করে। এর আগে ২২মে বুধবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে চথোয়াইমং মারমাকে বালাঘাটার চড়ুইপাড়া এলাকা থেকে অস্ত্রে র মুখে পাহাড়ী সন্ত্রাসীরা অপহরণ করে নিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এছাড়া গেল ৭ মে সন্ত্রাসীরা জনসংহতি সমিতির কর্মী বিনয় তঞ্চঙ্গ্যাকে গুলি করে হত্যা করে। অপহরণ করা হয় ফোলাধন তংচঙ্গা নামের অপর কর্মীকে। এখনো তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। গেল ৯ মে সন্ত্রাসীরা জনসংহতি সমিতির সমর্থক জয় মনি তঞ্চঙ্গ্যা কে গুলি করে হত্যা করে। ১৯মে বান্দরবানের রাজবিলায় আওয়ামী লীগের সর্মথক ক্য চিং থোয়াই মারমা (২৭) কে অপহরণের পর গুলি করে হত্যা করে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.