করোনা ভাইরাসের কারণে প্রায় এক কোটি টাকার লোকসান নিয়ে আকর্ষনীয় রাঙামাটির পর্যটন স্পট দর্শনার্থীদের জন্য সীসিত আকারে খুলে দিয়েছে পর্যটন কর্তৃপক্ষ। কারোনায় ১৩৭ দিন বন্ধ ছিল রাঙামাটির আকর্ষনীয় পর্যটন কমপ্লেক্সটি।
জানা গেছে, ইট পাথুরের শহর ও যান্ত্রিক জীবনের ক্লান্তি দূর করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভ্রমন পিপাসুরা পাহাড় ও হ্রদ ঘেরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে ছুটে আসেন রাঙামাটিতে। কিন্তু মহামাররি করোনা ভাইরাসের কারণে গেল ১৮ মার্চ থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয় পর্যটনের ঝুলন্তসহ পর্যটন স্পটটি। তবে দীর্ঘ ১৩৭ দিন বন্ধ থাকায় এবং পর্য়টকের আনাগোনা না থাকায় ও বর্তমান বর্ষা মৌসুমে প্রকৃতি তার অপন মনে সেজেছে। রাঙামাটির পর্যটন সেতুর সৌন্দর্য্য ছাড়াও তার আশাপাশের থাকা প্রকৃতির অপরুপ সৌন্দর্য্য মেলে ধরেছে প্রকৃতি। প্রকৃতি যেনো আপন মেতে উঠেছে। রাঙামাটিতে পর্যটনের আকর্যনীয় স্পটের মধ্যে রয়েছে,সেতু, শুভলং ঝর্ণা, রাজ বন বিহার,জেলা প্রশাসনের বাংলো, অরন্যক, আসামবস্তি-কাপ্তাই সড়কের বেসরকারী পর্যটন বেরান্নে, বড়গাঙ, রান্ন্যাতুগুন এবং আদিবাসীদের শান্ত সবুজ গ্রাম ও তাদের জীবনযাত্রা।
রাঙামাটি সরকারী পর্যটন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক সৃজন বিকাশ বড়ুয়া জানান, জেলা প্রশাসকের সাথে সাক্ষাত করে তার পরামর্শের ভিত্তিতে গেল মঙ্গলবার দুপুরে থেকে সীমিত আকারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দর্শনার্থীদের জন্য পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।
তিনি আরো জানান, করোনা মহামারির কারণে সরকারি নির্দেশনায় গেল ১৮ মার্চ বন্ধ করা হয়েছিলো পর্যটন কেন্দ্রটি। গত চার মাসে প্রায় এক কোটি টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে বলে জানান রাঙামাটি পর্যটন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপক।
তিনি জানান, এখন পর্যটন কমপ্লেক্সটি খুলে দেয়ার পর ঠিক কি পরিমাণ পর্যটক আসবেন অথবা আদৌ আসবেন কিনা সেটা বোঝা যাবে আগামী কয়েকদিনের পরিস্থিতির উপর। তবে সামাজিক দুরত্ব ও মাস্ক ছাড়া কাউকে পর্যটন কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়া হবে না।
রাঙামাটির জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশীদ জানান, রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপকের সাথে কথা হয়েছে। সামাজিক দুরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে যদি সীমিত আকারে খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেই মোতাবেক তারা পর্যটন কমপ্লেক্সটি খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে কেউ যেনো মাস্ক ছাড়া সেখানে না যায় এবং সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করা হয় এই ব্যাপারে জোড়ালো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.