বৃহস্পতিবার রাঙামাটিতে ‘নেতৃত্ব বিকাশের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন’ শিরোনামে শীর্ষক প্রকল্পের অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রাঙামাটি সদর উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ) এর সহযোগিতায় ও উইমেন্স এডুকেশন ফর এডভান্সমেন্ট এন্ড এমপাওয়ারমেন্ট (উইভ)’র উদ্যোগে ও বাস্তবায়নে এ অবহিতকরণ সভায় প্রধান অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুজ্জামান মহসিন রোমান। সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা তুজ জোহরা উপমার সভাপতিত্বে বিশেষ অথিতি হিসেবে সদর উপজেলা পরিষদের ভ্যাইস চেয়ারম্যান দুর্গেশ^র চাকমা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন ইসলাম, উইমেন্স এডুকেশন ফর এডভান্সমেন্ট এন্ড এমপাওয়ারমেন্ট (উইভ)’র নির্বাহী কর্মকর্তা নাই উ প্রু মারমা মেরী, রাঙামাটি সিএইচটি হেডম্যান নেটওয়ার্কের সহসভাপতি এ্যাভোকেট ববতোষ দেওয়ান, সাধারণ সম্পাদক শান্তি বিজয় চাকমা, রাঙামাটি প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা প্রেমা মহাজন। সভায়, সদর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, অন্যান্য হেডম্যান-কাবারী, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকতা, সাংবাদিকসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ অংশ নেন। সভা সঞ্চালনা করেন ‘‘নেতৃত্ব বিকাশের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন’’ শীর্ষক প্রকল্পের সমন্বয়ক কৃত্তিকা চাকমা।
সভায় অংশ গ্রহনকারীরা নারীর সকল ক্ষেত্রে ক্ষমাতায়ন, স্থানীয় সরকারের বিভন্ন কাঠামোতে অংশগ্রহন ও কার্যকারিতা বৃদ্ধি করা। স্থানীয় শাসন পক্রিয়ায় নারীদের সমান অংংশগ্রহন, প্রতিনিধিত্ব বিকাশ, অধিকতর নারীবান্ধব নীতিমালা ও আইনী কাঠামোর বিভন্ন পর্যায়ে নারীর ক্ষমতায়ন তরান্বিত করাসহ বিভন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।
প্রধান অথিতির বক্তব্যে শহিদুজ্জামান রোমান বলেন, নারী-পুরুষের সমতা অর্জনের মাধ্যমে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশ সৃষ্টিতে নারী নেতৃত্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যে একদল নারীকে সংগঠিত ও ক্ষমতায়িত ও অনুপ্রাণিত করতে হবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে নারীর সাংবিধানিক ও মানবাধিকার সম্পর্কে ধারণা অর্জন ও নারী উন্নয়নে সরকার কর্তৃক গৃহীত উদ্যোগ পর্যালোচনা করতে পারবেন এবং সরকারি সুযোগ ও সেবায় নারীর অভিগম্যতা সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখবেন বলেও তিনি আশা ব্যাক্ত করেন।
এসময় উইমেন্স এডুকেশন ফর এডভান্সমেন্ট এন্ড এমপাওয়ারমেন্ট (উইভ)’র নির্বাহী কর্মকর্তা নাই উ প্রু মারমা মেরী বলেন, ‘‘নেতৃত্ব বিকাশের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন’’ শিরোনামে শীর্ষক প্রজেক্ট বিশ্বাস করে যে, ‘নারীরাই ক্ষুধামুক্তির মূল চাবিকাঠি’। কেননা, বিদ্যমান জেন্ডার অসমতা ও বৈষম্য ক্ষুধামুক্ত-আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশ গড়ার পথে একটি বড় অন্তরায়। সমাজের অর্ধেক জনগোষ্ঠী-নারীকে অবদমিত রেখে টেকসই উন্নয়ন অর্জন সম্ভব নয়। বস্তুত নারীদের অগ্রাধিকার দিয়ে বিদ্যমান বৈষম্য ও অসমতা দূর করার লক্ষ্যে কার্যক্রম পরিচালনায় বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা উইমেন্স এডুকেশন ফর এডভান্সমেন্ট এন্ড এমপাওয়ারমেন্ট (উইভ) এনজিও এই প্রজেক্ট প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই উপলব্ধি থেকে উইভ’র এই প্রকল্প একটি নতুন ভবিষ্যৎ সৃষ্টির প্রত্যাশায় রাঙামাটির তৃণমূল পর্যায়ে একদল স্বেচ্ছাব্রতী ও চিন্তাশীল নারী নেতৃত্ব গড়ে তোলার প্রত্যয় নিয়ে পরিচালনা করছে ‘নারী নেতৃত্ব বিকাশ’ কার্যক্রম।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.