করোনা প্রাদুর্ভাব পরিস্থিতি ও আসন্ন ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে শুক্রবার রাঙামাটি সেনা রিজিয়নের উদ্যোগে থেকে দুস্থ, অসহায় ও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ব্যতিক্রমধর্মী এক মিনিটের ঈদ বাজারের আয়োজন করেছে।
২৪ পদাতিক ডিভিশনের চট্টগ্রাম এরিয়ার কমান্ডারের নির্দেশনায় রাঙামাটি মারী ষ্টেডিয়ামে মাঠে এই ব্যতিক্রমধর্মী এক মিনিটের ঈদ বাজারের উদ্বোধন করেন রাঙামাটি রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ ইফতেকুর রহমান। এসময় রাঙামাটি সদর জোন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল মোঃ রফিকুল ইসলাম, রাঙামাটি রিজিয়নের জি টু আই মেজর মহিউদ্দিন ফারুকী, রাঙামাটি জোন ষ্টাফ অফিসার মেজর মোঃ নাজমুল হাসানসহ উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এই এক মিনিটের ঈদ বাজারে ১৫ প্রকার আইটেমের মধ্যে রয়েছে চাল, ডাল, লবন, দুধ, সেমাই, শাড়ি, লুঙ্গি, লবন, নুডুলস, তেলসহ বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী ছাড়া পরিধেয় বস্ত্র শাড়ী,লুঙ্গি ও থামি রয়েছে। এসব দ্রব্য সামগ্রি ও পরিধেয় বস্ত্র পেয়ে দুস্থ, অসহায় ও নি¤œ আয়ের মানুষ খুশী।
এর আগে সেনা সদস্যদের মাধ্যমে পুরো বাজার এলাকা জীবানুমুক্ত করার পর নির্দিষ্ট দুরত্ব বজায় রেখে আলাদা ভাবে টেবিলে সকল পণ্য সামগ্রী সাজিয়ে রাখা হয়। গ্রহিতারা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সল্পতম সময়ে প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী সংগ্রহ করে প্রতিটি পরিবার। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে ধর্ম-বর্ণের ভেদাভেদ ভুলে এলাকার হতদরিদ্র ও অসহায় জনসাধারণের ঘরে কিছুটা হলেও ঈদের আনন্দ পৌছে দিতে এই উদ্যোগ বলে আয়োজক সূত্রে জানা গেছে।
রাঙামাটি রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ ইফতেকুর রহমান বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে সাধারন মানুষের জীবন ও জীবিকা এখনো বিপর্যস্ত। এখানে এখনো গণ পরিবহন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো ভালোভাবে চলছে না এমনকি হাট-বাজারগুলো খোলার শুরু করা যায়নি। যারা দিন মজুর খেতে খাওয়া মানুষ প্রান্তি পর্যায়ে রয়েছেন তাদের জন্য এক মিনিটের ঈদ বাজারের আয়োজন করেছি। যাদের ঈদের দিন তাদের মুখে হাসি ফুটে।
তিনি আরো বলেন, এর আগেও সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এক মিনিটের কাজারের আয়োজন করেছিলাম। আমরা বৃহস্পতিবার নানিয়ারচর ও কাপ্তাই ্উপজেলায় এক মিনিটের বাজারের আয়োজন করেছি। আজকে এই ঈদ বাজারে বিভিন্ন পরিধেয় বস্ত্র ও বিভিন্ন প্রয়োজনীয় নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি রয়েছে সেগুলো সকল মানুষের হাতে তুলে দিতে পেরেছি। এই সেবাধর্মী কার্যক্রমটি আমরা চালু রাখবো যতদিন এই কভিড-১৯ মহামারি মোকাবেলার করার জন্য আমরা রাঙামাটি সদরসহ আরো ৯টি উপজেলায় আমরা কভিড-১৯ মোকাবেলার জন্য কাজ করছি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রতিশ্রুতিদ্ধ এবং প্রতিজ্ঞাবদ্ধ দেশ এবং জাতির পাশে বা সাধারন মানুষের পাশে থাকার জন্য। আমরা যতদিন সরকার ও সেনা কর্তৃপক্ষ পরিকল্পনা করবে সেই অনুযায়ী জনপ্রতিনিধি, জনপ্রশাসন ও অন্যান্য আইন-শৃংখলা বাহিনীর সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে আমরা মাঠে থাকবো কভিড-১৯ মোকাবেলার জন্য যতটুকু প্রয়োজন মানুষের জন্য তাই করবো।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.