রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার ধুপশীল এলাকায় একটি বৌদ্ধ বিহারে আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে দূর্বৃত্তরা। গত শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিলাইছড়ি উপজেলাধীন সদর ইউপির ৭ নং ওয়ার্ডের ধুপশীল এলাকার ধূপশীল আন্তর্জাতিক বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্রে রাত সাড়ে ৯টার দিকে একদণ দুর্বৃত্ত আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে বিহারটি সম্পর্ন ভস্মিভূত হয়। ড. দীপংকর বৌদ্ধ ভিক্ষু ২০১৪ সালের দিকে এটি বৌদ্ধ বিহারটি প্রতিষ্ঠা করেছেন।
১নং বিলাইছড়ি ইউপির ৭,৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য জামুপুরি তঞ্চঙ্গ্যা জানান, প্রতিদিনের মত শুক্রবার রাতে বৌদ্ধ বিহারে সুখেন্দ তঞ্চঙ্গ্যা নামে একজন স্থানীয় সেবক অবস্থান করছিলেন। রাত আনুমানিক ৯ টা ৩০ মিনিটের দিকে ১০/১৫ জনের একটি গ্রুপ এসে তাকে ঘুম ডেকে তুলে। তিনি দরজা খুলে দিলে দূর্বৃত্তরা তাকে মারধর করে বিহারের বাইরে বের করে দেয় এবং বিহারে আগুণ লাগিয়ে দেয়। তিনি আরও জানান, বিহারের ভেতরে ছোট বড় অনেক বুদ্ধ মূর্তি রয়েছে সেগুলোও পুড়ে গেছে। পুড়িয়ে দেয়া বিহারটিসহ প্রায় কোটি টাকার সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছে বলে জানান। তিনি ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানান।
বিলাইছড়ি থানার ওসি পারভেজ আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, শুক্রবার রাতে পুড়ে দিয়েছে তার খবর পেয়েছি। তবে ঘটনাটি কারা ঘটিয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। শনিবার সকালে ঘটনার তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে একটি পুলিশ ফোর্স পাঠানো হয়েছে। তারা সেখান থেকে ফিরে আসলে বিস্তারিত জানা যাবে।
তিনি আরো বলেন, পুরো পৃথিবী যখন করোনার প্রভাবে বিপর্যস্ত ঠিক সেই মুহুর্তে এই ধরনের ঘটনা আসলে অনাকাঙ্খিত ও দুঃখজনক।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীরোত্তম তঞ্চঙ্গ্যা জানান, স্থানীয় ইউপি সদস্যদের মাধ্যমে খবরটা জেনেছি। তিনি করোনার মুহুর্তে এই ধরনের ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তাদের নিন্দা জানায়। স্থানীয়দের ঘটনা সম্পর্কে প্রশাসনকে জানানোর কথা বলেছি।
যারা ধর্মের উপর আঘাত করেছে তাদের কেউই মেনে নেবে না উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, এখন ঘটনাটি কারা ঘটিয়েছে তা এখনো অজ্ঞাত রয়েছে। তবে নিজের ধর্মের লোকজনেরা এই কাজ করতে পারবে বলে তার বিশ্বাস হচ্ছে না। কারণ একটি স্বার্থান্বেসী মহল এখন সব জায়গায় নানাভাবে বিভ্রান্ত ছড়িয়ে বিশৃঙ্খলা ছড়াতে উঠে পরে লেগেছে। তিনি ঘটনার সুস্থ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের আইনের আওতায় এনে যথাযথ শাস্তির দাবী জানান।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.