দেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে ৬৩টি জেলায় করোনা ভাইরাসের ছোবল পড়েছে। একমাত্র জেলা হিসেবে রাঙামাটি এখনও করোনা মুক্ত রয়েছে। জেলার মানুষের সচেতনা ও প্রশাসনের কড়াকড়ি কারণে এখনো করোনা মুক্ত রয়েছে।
দেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে ৬৩টি জেলায় করোনা ভাইরাস আক্রান্তের শনাক্ত হয়েছে। সর্বশেষ ৬৩তম জেলা হিসেবে খাগড়াছড়িতে গেল ২৯ এপ্রিল করোনা আক্রান্তের শনাক্ত হয়েছে। বর্তমানে দেশের করোনামুক্ত জেলা হিসেবে একমাত্র রাঙামাটি জেলা রয়েছে। তবে দেশের রাঙামাটি জেলাটি একমাত্র করোনামুক্ত হওয়ার কারণ হিসেবে জেলার মানুষ সচেতনতা সৃষ্টি অপরদিকে জেলা প্রশাসনের কঠোর তৎপরতার কারণে রাঙামাটি জেলাটি করোনামুক্ত রয়েছে। যদিও এ জেলায় বিদেশ ও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা লোকজনদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হলেও তাদের কঠোর নজরদারীর মধ্যে রাখা হয়েছে।
এদিকে জেলাকে করোনামুক্ত রাখতে জেলা প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা জেলার প্রবেশ পথে গোদার পাড়, মানিকছড়ি, কাপ্তাইয়ের বড়ইছড়ি, ঘাগড়ার রেষ্ট হাউজ চেক পোষ্ট ও নানিয়ারচরের ঘিলাছড়িতে কঠোর নজরদারীতে রেখেছে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী ছাড়া আর কোন যানবাহন রাঙামাটিতে প্রবেশ করতে পারছে না। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর যানবাহনের চালক ও হেলফারদেরকে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় পড়তে হচ্ছে। কোন ধরনের খারাপ লক্ষণ দেখলেই তাদেরকে আটকে দেয়া হচেছ সেখানেই।
অপরদিকে জেলা প্রশাসনসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ৪টি মোবাইল টিম রাঙামাটি শহরের বিভিন্ন এলাকায় এলাকায় টহল জোরদারসহ নিয়মিত ভ্রাম্যমান অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছে।
শনিবার রাঙামাটিতে সাপ্তাহিক হাট বার হওয়ায় কিছু সংখ্যাক লোকজন তাদের প্রয়োজনীয় কাজে বাইওে বের হন। তবে যারাই বের হয়েছেন তাদেরকেই পড়তে হয়েছে মোবাইল কোর্টের নজরদারীতে। যারা প্রয়োজন দেখাতে পেরেছে তাদেরকে ছাড় দেয়া হয়েছে। আর যারা প্রয়োজন দেখাতে পারেনি তাদেরকে মোবাইল কোর্টেও আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। এছাড়া জেলা প্রশাসনের একাধিক টিম পুলিশ সেনাবাহিনী যৌথভাবে শহরের প্রতিটি এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং প্রয়োজন ছাড়া বের হওয়া মানুষদের বাড়ি ফিরে যাওয়ার আহবান জানাচ্ছেন।
জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশীদ বলেন, শুরুতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি, জনপ্রতিনিধি, সংবাদকর্মীসহ সবাইয়ের সম্মিলিতভাবে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে কাজ করেছি। বিদেশ থেকে যারা এসেছেন তাদের ঠিকানা অনুসন্ধান করে হোম কোয়ারেটেন্ট নিশ্চিত করেছি। পাশাপাশি সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা,সামাজিক সুরক্ষা,স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলাসহ জনগণকে বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে বের না হওয়ার জন্য সকলেই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করেছি। ্
ইন্টারন্যাল ম্যানেজমেন্ট খুব ভালো হওয়ার কারণে আমরা জনগনকে সচেতন করতে সক্ষম হয়েছি উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, জনগণকে জরুরী প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হলে মাস্ক পরিধান, হ্যান্ড গ্লাবস পড়া, ঘন ঘন হাত ধোয়া এবং সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করতে বলায় এ জেলার অনেকাংশ মানুষ সচেতন হয়েছেন। যার প্রেক্ষিতে এখনো রাঙামাটি জেলাকে করোনা মুক্ত রাখতে পেরেছি। সর্বোপরি প্রধানমন্ত্রীর ৩১ দফা নির্দেশনা দিয়েছেন তা জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনসহ সকলেই মিলে এই নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য সর্বাত্নক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি বলে হয়তো এই কারণে রাঙামাটি জেলাটি এখনো করোনা মুক্ত রাখতে পেরেছি।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.