রাঙামাটির লংগদু উপজেলায় রোজা রেখে অসহায় দরিদ্র এক কৃষকের স্বেচ্ছায় পাকা ধান কেটে ঘরে তোলাসহ ধান মাড়ায় করে দিয়েছে স্বেচ্ছাসেবকলীগ।
সোমবার লংগদু উপজেলার স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি সাদেক হোসেনের নেতৃত্বে উপজেলার ৬নং মাইনীমুখ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের গাঁথাছড়া এলাকার বাসিন্দা আব্দুল মোতালেবের এই এক একর জমির ধান কেটে দেয়া হয়।
এ ধান কাটার উৎসবে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জয়নাল আবেদীনসহ ওয়ার্ড ইউনিয়নের প্রায় ৩০জন সদস্য অংশ নেন।
শুধু ধান টানা নয়, ধান মাড়াই করে কৃষকের ঘরে ঘরে পৌছে দেন তারা। এতে করোনার কালো ছায়ার মাঝেও আনন্দের উচ্ছ্বাস দেখা যায় কৃষকের চোখে মুখে। ধানের বাম্পান ফলন দেখে কৃষকের মুখে হাসি ফুটলেও করোনার কালো ছায়া ম্লান করে দেয় সব। ধান কাটার মানুষ না পেয়ে অনেকটা বিপাকে পড়েন তারা। এরই মধ্যে শুরু হয় কাল বৈশাখী ঝড়ও। কষ্টের ফসল চোখের সামনে নষ্ট হতে দেখে অনেক কৃষক মানুসিকভাবে ভেঙে পড়েন। ঠিক তখনই কৃষকের সহায়তায় এগিয়ে আসেন স্থানীয় ছাত্রলীগের পরে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতাকর্মীরা।
রাঙামাটি লংগদু উপজেলার কৃষক আব্দুল মোতালেব জানান, পাকা ধান নিয়ে বিপাকে পড়েন তিনি। ধান কাটার মানুষ না থাকায় কষ্টের ফসল চোখের সামনেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু আমার এ কষ্টের সময়ে উপজেলার স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৩০জন নেতাকর্মীরা এগিয়ে আসেন আমাকে সহযোগিতা করতে। সবাই মিলে তার ১ একর জমির পাকা ধান কেটে দিয়েছে। শুধু তাই নয় সেই ধান বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দেন তারা।
রাঙামাটি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সাদেক হোসেন জানান, সারাদেশে চলছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। এই সংক্রমণ প্রতিরোধে চলছে লকডাউন। এতে শ্রমিক সংকটে কৃষকরা জমির পাকা ধান কাটতে পারছিলেন না। তাই আমরা স্বেচ্ছাশ্রমে কৃষকদের ধান কাটতে এগিয়ে এসেছি। এমন সময় সবাইকে সবার নিজ নিজ স্থান থেকে সহযোগিতা করা প্রয়োজন। আমরা স্বেচ্ছাসেবকরীগ বলে না, মানবিক দৃষ্টিতে দেশের মানুষকে সহযোগিতা করতে চাই। আমাদের এ কার্যক্রম আব্যাহত থাকবে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.