রোববার রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে দুর্বৃত্তরা দুই নারীকে অপহরণ ও অপর চার ব্যক্তিকে শারিরীক নির্যাতন করেছে বলে অভিযোগ করেছে ইউনাইটেড পিপল্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে এ ঘটনায় সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতিকে দায়ী করেছে। তবে জনসংহতি সমিতি এ ঘটনার সাথে জড়িত নয় বলে দাবী করেছে।
ইউপিডিএফের রাঙামাটি জেলা ইউনিটের সংগঠক সচল চাকমার স্বাক্ষরিত এক প্রেস বার্তায় দাবি করা হয়, রোববার রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার জ্যোতির্ময় কার্বারী পাড়া এলাকায় জনসংহতি সমিতির একদল সদস্য অবস্থান নিয়ে লোকজনকে ভয়-ভীতি প্রদর্শন ও হুমকি-ধামকি দিতে থাকে। পরে বিকেলের দিকে চার গ্রামবাসীকে মারধর ও দুই নারীকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে নিয়ে যায়। অপহৃতরা হলেন নিবারণ চাকমার স্ত্রী নিতু চাকমা (২৭) ও সুনীল চাকমার স্ত্রী ইতি চাকমা (২৬)। শারিরীক নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিরা হলেন জোসময় তালুকদার (৩৫), পিতা-নির্মলেন্দু তালুকদার, ধেঙা চাকমা (২২), পিতা জহরলাল চাকমা, থক্কো চাকমা (১৮), পিতা রেবতী রঞ্জন চাকমা ও চুংগু চাকমা (১৮)।
বিবৃতিতে আরও অভিযোগ করা হয়, করঙাতলী বাজারে আসা লোকজনকে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ধরপাকড়, হয়রানি ও চলন্ত গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি চালালে জনমনে ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। এসময় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা মরত্তো চাকমা (৩৫) ও পহেলা চাকমাকে (৩২) ধরে নিয়ে যায়। অবশ্য পরে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়।
বিবৃতিতে অবিলম্বে অপহৃত দুই নারীকে উদ্ধার, অপহরণকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তি এবং নিরাপত্তা বাহিনীর কর্তৃক নিরীহ গ্রামবাসীদের হয়রানি, ধরপাকড় ও নির্যাতন বন্ধের দাবি জানানো হয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় সহ-তথ্য ও প্রচার বিভাগের সম্পাদক সজীব চাকমা এ ঘটনার সাথে জনসংহতি সমিতি জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে জানান, জনসংহতি সমিতি এ ধরণের ঘটনাকে সমর্থন ও আশ্রয়-প্রশয় দেয় না। জনসংহতি সমিতির ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য এ ধরনের মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ করা হয়েছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.