দৈনিক সমকালসহ কয়েকটি অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত সাংবাদের ভিত্তিতে রাঙামাটি সদর ও বরকল উপজেলার দুই গ্রামে ত্রাণ সামগ্রি পৌছে দিয়েছে তিনটি বেসরকারী সেচ্ছা সেবী সংগঠন। সেগুলো হল হিল ইনঞ্জিনিয়ার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, উম্মেষ ও প্রোবেটার লিভিং বাংলাদেশ (পিবিএল)।
সম্প্রতি দেশের প্রথম সারির জাতীয় দৈনিক সমকাল ও স্থানীয় অনলাইন পোর্টালে করোনা ভাইরাস সংক্রমণে কর্মহীন হয়ে পড়া কৈতুর খিল ও বসন্ত পাংখোয়া পাড়ার ৫৮ পরিবার ত্রাণ পায়নি বলে খবর প্রকাশিত হয়।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের হিল ইনঞ্জিনিয়ার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর উদ্যোগে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে বরকল উপজেলা সুবলং ইউনিয়নের কৈতুর খিল গ্রামের কর্মহীনদের ঘরে ঘরে পৌছে দেওয়া হয়েছে খাদ্য সহায়তা। এর আগে গেল ১১ এপ্রিল রাঙামাটি সদর উপজেলার বসন্ত পাংখোয়া পাড়ার প্রান্তিক জনগোষ্ঠী পাংখোয়া ২৮ পরিবারকে বিশেষ উপহার (ত্রান) পৌছে দিয়েছে উম্মেষ ও প্রোবেটার লিভিং বাংলাদেশ (পিবিএল)। বালুখালী ইউনিয়নের বাদলছড়ি এলাকায় সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে এসব বিতরণ করেন সাবেক জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য নিরুপা দেওয়ান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উম্মেষের সভাপতি বিটন চাকমা, সাধারণ সম্পাদক বিদ্যুৎ চাকমা প্রমূখ।
এদিকে, গেল ৬ এপ্রিল বালুখালী ইউপি চেয়ারম্যান বিজয় গিরি চাকমা তার নিজস্ব ফেইজবুক আইডিতে প্রকাশিত সংবাদে মিথ্যা বলে দাবী করে বলেছেন, করোনা ভাইরাসের সৃষ্ট পরিস্থিতিতে কর্মহীন ৬ জনকে ত্রান, ভিজিডি ৪ জন, প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর স্বল্প মূল্যে চাল ৬জনকে প্রদান করা হয়েছে।
তবে এই প্রতিবাদের ভিত্তিতে সম্প্রতি সরেজমিনে খোজ নিয়ে জানা গেছে করোনা ভাইরাসের সৃষ্ট পরিস্থিতিতে কর্মহীন ৬ জনের মধ্যে ডভিদ পাংখোয়া নামে কোন লোক এমনকি তার ঘরও খুজে পাওয়া যায়নি। এছাড়া লিয়ান ডেলথাং পাংখোয়াকে গেল ১১ এপ্রিল চাল ১৫ কেজি পাঠানো হয়েছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর স্বল্প মূল্যে চাল প্রাপ্ত ৬ জনের মধ্যে জীবন পাংখোয়া কোন চাল পাননি বলে তিনি দাবী করেছেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.