রোববার খাগড়াছড়ির মাটিরাঙা উপজেলার গোমতির বলিচন্দ্র কার্বাারি পাড়ায় স্থানীয় চাউল ব্যবসায়ী মো. আবুল হাসেমের বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা।
গোমতি ইউনিয়নে নির্বাচিত ৩শ ৩৫ জন কার্ডধারীর কাছে ১০ টাকা দরে বিক্রির জন্য সরকারের বরাদ্দকৃত ৩০ কেজি ওজনের ২৮ টি বস্তা সরকারি চাল গোপনে চুরি হওয়ার খবর পেয়ে তা উদ্ধার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে চাল জব্দ করেন মাটিরাঙ্গার সহকারী কমিশনার (ভুমি) ফারজানা আকতার ববি। এসময় খাদ্যবান্ধব কর্মসুচীর চাল ক্রয় করার অভিযোগে মো. আবুল হাসেমকে আটক করা হয়।
উদ্ধার করা ২৮ বস্তা চাল উদ্ধার করে মাটিরাঙা থানায় নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মাটিরাঙা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শামসুদ্দিন ভুইয়া। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ডিলার মো. আব্দুল মোমিন পলাতক রয়েছে। তিনি গোমতি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মনির হোসেনের ছোট ভাই।
জানা গেছে, ইউনিয়ন পর্যায়ে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১০ টাকা মূল্যে চাল বিক্রির জন্য সরকারিভাবে বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্ত সেই চাল নির্ধারিত কার্ডধারীদের কাছে বিক্রি না করে ডিলার মো. আবদুল মোমিন ২৮ বস্তা চাল স্থানীয় চাল ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে। বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয়রা ক্রেতার বাড়ি থেকে ওই চাল উদ্ধার করে।
মাটিরাঙা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিভীষণ কান্তি দাশ জানান, খাদ্যবান্ধব কর্মসুচীর চাল কালো বাজারে বিক্রির খবর পেয়ে ২৮ বস্তা চাল উদ্ধার করেছি। এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ডিলার এবং ক্রেতার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে । এছাড়াও সংশ্লিষ্ট ট্যাগ অফিসারের কোন গাফিলতি আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হবে। কোন ধরনের খাদ্য শষ্য বিতরণে অনিয়ম হলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.