করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট বিপর্যয়কর পরিস্থিতিতে রাঙামাটিতে কর্মহীন কেউ না খেয়ে থাকতে হবে না। রাঙামাটিতে দীপংকর তালুকদার এমপির নেতৃত্বে দুস্থ, শ্রমিক, কর্মহীনদের ঘরে ঘরে খাদ্য পৌছে দেওয়া হচ্ছে।
বুধবার জুরাছড়ি উপজেলায় পার্বত্য বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের বরাদ্দকৃত খাদ্য-শস্য বিতরন শেষে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনীময় কালে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমা একথা বলেন।
উপজেলা খাদ্য গুদাম প্রাঙ্গনে বিতরণ কালে উপজেলা চেয়ারম্যান সুরেশ কুমার চাকমা, বনযোগীছড়া ইউপি চেয়ারম্যান সন্তোষ বিকাশ চাকমা, জুরাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ক্যানন চাকমা, বনযোগীছড়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উজ্জল কান্তি চাকমা, জুরাছড়ি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিন্টু চাকমা, যুব লীগের সভাপতি রিকো চাকমা, ছাত্র লীগের সভাপতি জ্ঞান মিত্র চাকমাসহ অঙ্গ সংগঠনের নের্তৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমা আরো বলেন, এই বিপর্যয়করপরিস্থিতিতেও কোন প্রান্তিক জনগোষ্ঠী বিনা চিকিৎসায় মারা যেতে হবে না। সকল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ক্লিনিকে চিকিৎসক এবং পর্যাপ্ত ঔষধ সংরক্ষণ রাখা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, করোনা ভাইরাসের পরিক্ষা করা মানেই করোনা রোগী নয়-সমাজে বিভ্রান্তি না ছড়িয়ে সামাজিক ভাবে সকলের সুরক্ষায় পাড়ায় কারোর জ¦র, কাঁশি, অবসাদ, শ্বাসকষ্ট, গলা ব্যথা এবং মাথা ব্যথা তাকলেই নিকস্থ্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিনা খরচে করোনা ভাইরাস পরিক্ষা করার অনুরোধ জানান।
জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমা আরো বলেন, এই বিপর্যয়কর পরিস্থিতিতে মোকাবেলার জন্য বিনা প্রয়োজনে ঘরে বাইর না হওয়া, বাহির হলেও নিয়মিত মাস্ক ব্যবহার, নিয়মিত সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য পার্বত্য বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের কর্তৃক রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের অনুকুলে বিশেষ প্রকল্প কর্মসূচীর খাতে ২শ মেট্্িরক টন বরাদ্দ হতে জুরাছড়ি উপজেলায় ১২ মেট্রিক টন চাল জুরাছড়ি, বনযোগীছড়া, মৈদং ও দুমদুম্যা ইউনিয়নে ১২শ পরিবারের মাঝে ১০ কেজি হারে বিতরণ করা হচ্ছে।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.