বৃহস্পতিবার খাগড়াছড়িতে এমএলই(মাল্টি ল্যাংগুয়েস এডুকেশন) কর্মসূচী বাস্তবায়নের প্রতিবন্ধকতাসমুহ চিহ্নিত করণ ও করণীয় শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিস,খাগড়াছড়ি রির্সোস সেন্টার, সেতু এমএলই প্রকল্প ও জাবারাং কল্যান সমিতির উদ্যোগে, জাবারাং কল্যান সমিতির নির্বাহী পরিচালক মথুরা বিকাশ ত্রিপুরা সভাপতিত্বে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ও প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের আহ্বায়ক মংক্যচিং চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে এ কর্মশালা উদ্ভোধন করেন। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফাতেমা মেহের ইয়াসমিন,সদরের ইউআরসি ইন্সট্রাক্টর রিন্টু কুমার চাকমা,উপজেলার সহাকারি শিক্ষা কর্মকর্তা এডিন চাকমা,মোঃ মঞ্জুর মোরর্শেদ,সুপায়ন চাকমা, এমএলই কর্মসূচী সমন্বয়কারী বিনোদন ত্রিপুরা। কর্মশালায় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৯ জন প্রধান শিক্ষক ৯ জন সহকারি শিক্ষক এসএমসি সদস্য ও মা দলের ৩ সদস্য অংশ গ্রহন করেন।
কর্মশালায় সরকারের ঘোষিত প্রাথমিক শিক্ষায় মাতৃভাষায় শিক্ষাদান কর্মসূচী বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সমুহ চিহ্নিত করে করণীয় সর্ম্পকে আলোচনা করা হয়।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন প্রাথমিকে ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠী শিক্ষাথীদের স্ব স্ব মাতৃভাষা শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রতিবন্ধতা তুলে ধরেন এবং তা সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানান। এসব প্রতিবন্ধতাগুলো হল প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে প্রথমত বিদ্যালয়ে এমএলই পাঠ্য পুস্তক ব্যবহারের জন্য সরকারের সুনিদিষ্ট কোন নির্দেশনা নেই,ব্রিজিং পদ্ধতি সর্ম্পকে শিক্ষকের ধারনা অস্পষ্টতা,স্ব স্ব ভাষায় বর্ণমালার ধারনা না থাকা,কর্মপরিকল্পনা না থাকা,পরীক্ষা পদ্ধতিতে ভাষার সম্পৃক্ততা না।
বক্তারা এসব প্রতিবন্ধকতাসমুহ সরকার যদি সমাধান করেন তাইলে সরকারের স্ব স্ব মাতৃভাষায় শিক্ষাদান কর্মসূচী সফল হবে বলে মনে করেন।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.