মা ও শিশুর পুষ্টি উন্নয়নের লক্ষ্যে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সহায়তায় লিডারশীপ এনসিউর এডইকুয়েট নিউট্রিশন (লীন) প্রকল্প কর্তৃক হাসমুরগীর ডিম থেকে বাচ্চা ফুটানোর কৃত্রিম যন্ত্র (ইনকিউভেটর) বিতরণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ হল রুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব টিটন খীসা, জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মুহাম্মদ নুরুল আফসার, দীঘিনালা উপজেলা প্রানীসম্পদ কর্মকর্তা জনাব জওহরলাল চাকমা, গুইমারা উপজেলা প্রানীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আবু রেজা তালুকদার । লীন প্রকল্পের জেলা ব্যববস্থাপক নিখিল চাকমাসহ প্রকল্পের অন্যান্য কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ।
উল্লেখ্য, মা ও শিশুর পুষ্টি উন্নয়নের লক্ষ্যে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সহায়তায় লীন নামক একটি প্রকল্প ২০১৯ সাল থেকে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার পাচটি উপজেলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে। উপজেলাগুলো হলো গুইমারা, লক্ষীছড়ি, পানছড়ি, দীলিনালা ও মহালছড়ি । এ প্রকল্পের উদ্যোগে সর্বমোট ৪৫ টি নারী পরিচালিত ব্যবসা(উইমেন্স সিনেস সেন্টার) কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে যেখানে প্রত্যন্ত এলাকায় নারীরা ব্যবসা পরিচালনা করছেন। ডব্লিউবিসি কেন্দ্রের অর্ন্তভূক্ত নারী সদস্যরা ব্যবসা পরিচালনার পাশাপাশি কিশোরী, দুগ্ধদানকারী ও গর্ভবতী মা, দের পুষ্টি বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে। ইতিমধ্যে প্রকল্পের মাধ্যেমে ২০ জন নারীকে ‘ব্যবসা পরিকল্পনা’ এবং ২২১ জন নারীকে ‘পুষ্টি বিষয়ক মৌলিক প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২০ তারিখ ৫ টি ডব্লিউবিসি সেন্টারে হাসমুরগীর ডিম ফুটানোর কৃত্রিম যন্ত্র (ইনকিউভেটর) প্রদান করা হয় । ইউকিউভেটরগুলো ডব্লিউবিসি সদস্যদের হাতে হস্তান্তর করা হয়।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.