রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলী নদীতে নৌকা ডুবিতে নিখোঁজ হওয়া মা-ছেলের সন্ধান শনিবারও উদ্ধার হয়নি। তবে ডুবুরিরা এখনো উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন।
চন্দ্রঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম বেবী জানান, কর্ণফূলী নদীতে নিখোঁজ দুজনের সন্ধানে নৌ বাহিনীর ও ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা শনিবার কর্ণফূলী নদীতে বিভিন্ন স্থানে উদ্ধার তৎপরতা চালিয়েছেন। তবে এখনো পর্ষন্ত তাদের উদ্ধার করা যায়নি। এর আগে গেল শুক্রবার বিকালে নৌ বাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দেবলীনা দে এর মৃতদেহ উদ্ধার করে।
এদিকে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ শওকত আকবর চৌধুরী জানান, কাপ্তাই হ্রদে নৌভ্রমনের সময় নৌকা ডুবিতে নিহত ৫জনের মরদেহ গত শুক্রবার রাতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই স্বজনদের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,গেল শুক্রবার চট্টগ্রামের ইপিজেড এর প্যাসিপিক গার্মেন্টস লিমিটেডের ৫০ জন শ্রমিক তাদের স্বজনদের নিয়ে রাঙামাটিতে পিকনিকে আসেন। তারা দুটি বোট ভাড়া করে নিয়ে গিয়ে কাপ্তাই হ্রদে নৌভ্রমনে বের হন। এতে পর্যটন ঘাট এলাকা থেকে কিছু দূরে গেলে নৌকাটি দুর্ঘটনায় পতিত হলে এক শিশুসহ ৫জন নারীর মৃত্যু হয়। একই দিনে কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনায় কয়লার ডিপু সংলগ্ন এলাকার কর্ণফুলী নদীতে চট্টগ্রাম থেকে আসা আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘের ইসকনের ৫৩ জনের একটি দল দেশীয় ইঞ্জিন বোট করে ভ্রমনের সময় নদীর স্রোতের তোড়ে ডুবে গিয়ে ৩জন নিখোঁজ হন। এদের মধ্যে থেকে গত শুক্রবার বিকালে চট্টগ্রাম শহরের হাজারী গলির রতন দে’র দশ বছরের শিশু কন্যা দেবলীনা দে এর মৃতদেহ উদ্ধার করে ডুবুরিরা। নিখোঁজ হওয়া মা-ছেলে হলেন চট্টগ্রামের জোড়া গঞ্জের হরিপুর বাসিন্দা রাজীব মজুমদারের স্ত্রী তুম্পা মজুমদার ও ৫ বছরের শিশুপুত্র বিজয় মজুমদার।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.