বঙ্গবন্ধু জাতীয় অ্যাডভেঞ্চার উৎসব দেশে একটি নতুন মাত্রা যোগ করবে- মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী

Published: 11 Jan 2020   Saturday   

মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক বলেন, মুজিব বর্ষের শুরুতেই পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের আয়োজনে এই বঙ্গবন্ধু জাতীয় অ্যাডভেঞ্চার উৎসব দেশে একটি নতুন মাত্রা যোগ করবে। পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু জাতীয় অ্যাডভেঞ্চার উৎসবের ফলে পার্বত্যাঞ্চলের পর্যটন খাতের বিকাশ ও উন্নয়নে দেশে একটি নতুন মাত্রা যুক্ত হলো। এই অ্যাডভেঞ্চারের ইভেন্টগুলোতে দেশী-বিদেশী তরুন সমাজকে আরো বেশী করে অনুপ্রাণিত করবে।


শনিবার রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রথম বারের মতো ৫দিন ব্যাপী বঙ্গবন্ধু জাতীয় অ্যাডভেঞ্চার উৎসবের উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।


কাপ্তাইয়ের কর্ণফুলী কলেজ মাঠে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের আয়োজনে বাংলাদেশ অ্যাডভেঞ্চার ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পার্বত্য চট্রগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ অ্যাডভেঞ্চার ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট নববিক্রম কিশোর ত্রিপুরার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাঙামাটির সাংসদ দীপংকর তালুকদার সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাংসদ বাসন্তী চাকমা, ওসিয়ান সেলর এন্ড অ্যাডভেঞ্চার এর প্রতিনিধি এ্যানি কুইমারী, কাপ্তাই নৌ বাহিনীর শহীদ মোয়াজ্জম ঘাঁটির অধিনায়ক ক্যাপ্টেন এম এ মুকিত খান, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ, পুলিশ সুপার মো আলমগীর কবীর প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান শাহীনুল ইসলাম।

 

এসময় অন্যান্যও মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রাঙামাটি জেলা পরিষদ সদস্য থোয়াইচিং মারমা, শান্তনা চাকমা, কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মফিজুল হক, কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্রাফ আহমেদ রাসেল, কাপ্তাই সার্কেলের এ.এস.পি জুনায়েদ কাউসার, উপজেলা আ.লীগ সভাপতি অংসুই ছাইন চৌধুরী, উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম খলীল, কর্ণফুলী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ এ.এইচ.এম বেলাল চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী প্রমূখ।


উৎসবে শতকন্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন উপজেলা শিল্পকলা একাডেমি শিল্পী এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। পরে বেলুন উড়িয়ে ও পায়রা অবমুক্ত করার মাধ্যমে উৎসবের শুভ উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি।


উৎসবে পার্বত্যাঞ্চল থেকে ৩১জন, দেশের অন্যান্য স্থান হতে ৫০জন এবং বিদেশী ১৬জনসহ মোট ১’শ জন অ্যাডভেঞ্চারে অংশগ্রহণ করেন। অ্যাডভেঞ্চার উৎসবের মধ্যে রয়েছে মাউন্টেইন বাইকিং, কায়াকিং, দি ট্রেইল হাইকিং, কেভ ডিসকভারি,হাইকিং, ট্রেইল রান, ফুরমোন বাইকিংসহ ইত্যাদি প্রতিযোগিতা। ৫দিন ব্যাপী এসব প্রতিযোগিতা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলায় অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ১৫ জানুয়ারী রাঙামাটিতে প্রতিযোগীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরণ করা হবে।


মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক প্রচেষ্টায় ১৯৯৭ সালের ২ডিসেম্বর পাহাড়ের সংঘাত বন্ধ করে স্থায়ী শান্তির লক্ষ্যে ‘পার্বত্য শান্তি চুক্তি’ বাস্তবায়ন করা হয়। বর্তমানে বাংলাদেশ উন্নয়নের মহা সড়কে দূর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে। পার্বত্যাঞ্চলের মানুষরাও এখন আর পিছিয়ে নেই।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.

উপদেষ্টা সম্পাদক : সুনীল কান্তি দে
সম্পাদক : সত্রং চাকমা

মোহাম্মদীয়া মার্কেট, কাটা পাহাড় লেন, বনরুপা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।
ইমেইল : info@hillbd24.com
সকল স্বত্ব hillbd24.com কর্তৃক সংরক্ষিত