পার্বত্য চট্টগ্রামে মানুষের মৌলিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের বিকল্প নেই। বিক্ষিপ্ত ভাবে আন্দোলন করে পাহাড়ের সমস্যা সমাধান কখনও সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন নবগঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের নেতৃবৃন্দ। বৃহস্পতিবার সকালে খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবে সংগঠনের জেলা পর্যায়ে আত্মপ্রকাশের সংবাদ সম্মেলন থেকে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনটি আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এড. মোঃ আলম খান এ সময় তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন পার্বত্য শান্তি চুক্তির পর পাহাড়ে চাঁদাবাজী ও সশস্ত্র তৎপরতা বন্ধ হয়নি। আর চাঁদাবাজির কারনে পাহাড়ের আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল গুলো চার ভাগে বিভক্ত হয়েছে। যার ফলে শান্তি চুক্তির সুফল পাচ্ছে না পার্বত্য বাসী। তাই পাহাড়ী-বাঙ্গালী ভেদাভেদ ভুলে দুস্কৃতি কারীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য এই সংগঠন আত্ম প্রকাশ বলে বলা হয় লিখিক বক্তব্যে। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার আলকাছ আল মামুন ভূইয়া, সদস্য সচিব লোকমান হোসেন,অধ্যক্ষ মোঃ আবু তাহের, খাগড়াছড়ির পৌর কাউন্সিলর ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল মজিদ,এসএম মাসুদ রানাসহ দলের নেতা কর্মীরা।
সংবাদ সম্মেলন শেষে খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সামনে থেকে একটি আনন্দ শোভাযাত্রা বের করে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করা হয়।
উল্লেখ্য, গেল ৫ ডিসেম্বর পাহাড়ের সকল বাঙ্গালী আঞ্চলিক সংগঠন বিলুপ্ত করে ঢাকায় সংবাদ সম্মেলনের মধ্যে দিয়ে আত্মপ্রকাশ ঘটে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের।
--হিলবিডি২৪/সম্পাদনা/সিআর.